আরাকান রাজ্যের মংডু এলাকায় জান্তা বাহিনী এবং আরাকান আর্মি যোদ্ধাদের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। পুরো মংডু জুড়ে এই যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়েছে।
জান্তা সৈন্যরা গত ২৫ জুন সকালে এলাকাটিতে ধারাবাহিক বিমান হামলা চালিয়েছে। নাফ নদী থেকে জান্তার একটি সামরিক জাহাজ থেকে জনবহুল এলাকা লক্ষ্য করে ক্রমাগত আর্টিলারি শেল নিক্ষেপ করা হচ্ছে। যুদ্ধবিমানগুলিকে দিনে ও রাতে শহরের উপর দিয়ে উড়তে দেখা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে আরাকানি সংবাদমাধ্যম নারিঞ্জারা নিউজ তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মংডু শহরের চারপাশে কিছু প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান তৈরি করে আরাকান আর্মি যোদ্ধাদের শহরে প্রবেশে বাধা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল জান্তা বাহিনী। তদের সেই প্রতিরক্ষা লাইন ভেঙে দেওয়ার জন্য আরাকান আর্মি স্থল আক্রমণের পাশাপাশি ড্রোন এবং আরপিজি হামলা করে যাচ্ছে।
জান্তা সৈন্যরা মায়ো মা কা নিন তান ওয়ার্ডে বাংলা মঠ এবং সমাজকল্যাণ ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিসে অবস্থান নিয়েছে। কিছু সৈন্য লেট থার এবং কু লা বার মুসলিম গ্রামে অবস্থান করছে।
আরাকান আর্মি মূলত শহরটি ঘিরে ফেলছে যদিও জান্তার বিমান বাহিনী তাদের বাধা দেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকার ১৯৯৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের টেকনাফ ও মিয়ানমারের মংডুর সঙ্গে সীমান্ত বাণিজ্য চালু করেছিল। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির জান্তা বাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির লড়াই-সংঘর্ষের ভয়াবহতা বেড়ে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে।