বগুড়া জেলা শহরে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত হওয়া দুজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এনে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন- চন্দন কুমার দেব (৬৪) ও রঞ্জন চন্দ্র পাল (৪৮)।
তাদের দুজনকে দেখতে হাসপাতালে এসেছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
সোমবার (৮ জুলাই) সকালে তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মন্ত্রী। তিনি আহতদের খোঁজ খবর নেন, স্বজনদের সঙ্গে কথাও বলেন।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আহমেদুর রহমান সবুজ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, জগন্নাথ দেবের রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত চন্দন কুমার দেব ও রঞ্জন চন্দ্র পালের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চন্দনের শরীরের ২৫ ও রঞ্জনের ৯ শতাংশ পুড়ে গেছে। দুজনের মাথায় আঘাত রয়েছে। বর্তমানে দুজনকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতালে এসেছিলেন। দুই রোগীর সঙ্গে তার দেখা হয়েছে। তাদের স্বজনদেরও সঙ্গেও কথা হয়েছে।
রোববার (৭ জুলাই) বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে শহরের সেউজগাড়ী আমতলা এলাকায় রথযাত্রা বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৫ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন ৩০ জন। তাদের মধ্যে দুজন চন্দন ও রঞ্জন।
হাসপাতালে অবস্থানরত চন্দনের ছেলে পরাগ দেব জানান, সদর উপজেলার দত্তবাড়ি এলাকায় তাদের বাড়ি। তার বাবা ইসকনের অনুসারী, তাই রথযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন। দুর্ঘটনার খবর শুনে তিনি তার বাবার খোঁজ নিয়েছিলেন। জানতে পারেন চন্দন আহত হয়ে শহীদ জিয়া মেডিকেলে ভর্তি হয়েছে। সেখানে আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় বাবাকে নিয়ে ঢাকা এসেছেন পরাগ।
রঞ্জন চন্দ্র পালের মেয়ে রাখি পাল জানান, তার বাবা রথযাত্রার পেছনে ছিলেন। মা ও ছোট দুই বোন ছিলেন সামনে। রথের ওপরের অংশ বিদ্যুতের তারের সঙ্গে সংস্পর্শ হলে রথ ধরে থাকা তার বাবা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে তাকে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছে।
সেউজগাড়ি পালপাড়া এলাকার বাসিন্দা রঞ্জনের কোমর ও দুই পায়ে কিছু অংশ পুড়ে গেছে।