পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত আইন প্রণেতাদের জাতীয় পরিষদে সংরক্ষিত আসন দিতে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) অস্বীকৃতিকে বৈধতা দেয়া পেশোয়ার হাইকোর্টের (পিএইচসি) রায়কে বাতিল করেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
অর্থাৎ এ রায়ে প্রকাশ পেয়েছে যে পিটিআই সমর্থিতরা ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সংরক্ষিত আসন পাবেন।
শুক্রবার ৮-৫ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে এ রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি মনসুর আলী শাহ।
সর্বোচ্চ আদালতের এ সিদ্ধান্ত পিটিআইকে শুধু পার্লামেন্টে ফিরে যেতেই সহায়তা করবে না, অধিকন্তু ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির গঠন পরিবর্তনে জোট সরকারের ওপর চাপ বাড়াবে।
ইসিপির গতবছরের ডিসেম্বরের এক সিদ্ধান্তের কারণে গত ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়া পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশ নিতে পারেনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই। তবে তারা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করেছে।
পিটিআই নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন না করতে পারলেও তারা সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের (এসআইসি) সাথে যুক্ত হয়ে পার্লামেন্টে গেছে। কিন্তু তারপরও তাদেরকে সংরক্ষিত আসনের ভাগ দেয়নি ইসিপি।
আজকের রায়ে আদালত এটা পরিষ্কার করেছে যে নির্বাচনী প্রতীক না থাকা বা প্রতীক দিতে অস্বীকৃতি কোনোভাবেই কোনো রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সাংবিধানিক বা আইনগত অধিকারকে প্রভাবিত করে না।
শীর্ষ আদালত মন্তব্য করেছে যে, দল হিসেবে পিটিআইর সংরক্ষিত আসন পাওয়ার বৈধ ও সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে।
তবে, সংবিধান অনুসারে সংরক্ষিত আসন পেতে পারে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
রুলে আদালত বলেছেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পিটিআই যেন নির্বাচন কর্তৃপক্ষের কাছে সংরক্ষিত আসনের জন্য তাদের বৈধ প্রার্থীদের নামের তালিকা জমা দেয়।
সূত্র : দ্য নিউজ