হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলারে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় হামলার শিকার হন তিনি। এরপরই তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে তিনি হাসপাতাল থেকে নিউ জার্সির বাড়িতে ফিরেছেন বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।
হামলার পর থেকেই ট্রাম্পের শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়। তবে তার শারীরিক অবস্থা ভালো আছে বলে দলের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। রিপাবলিকান প্রচারণা শিবির শনিবার ওই হামলার পর জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন ভালো আছেন এবং একটি হাসপাতালে তার শারীরিক অবস্থার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে।
গুলিতে আহত হওয়ার পর পরই নির্বাচনী প্রচারণার মঞ্চ থেকে ট্রাম্পকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার মুখপাত্র স্টিভেন চিয়াং বলেন, হামলার ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় সিক্রেট সার্ভিস এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ট্রাম্প এখন ভালো আছেন।
হামলার ঘটনায় কানে গুলি লাগলেও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। আকস্মিক ওই হামলার বিষয়ে ট্রাম্প জানান, নির্বাচনী প্রচারণার সময় তার কানে গুলি করা হয়েছে। তিনি জানান, তার মনে হচ্ছিল কান ঘেঁষে একটি বুলেট চলে গেল।
হামলার পরপরই তিনি মাটিতে পড়ে যান। এসময় তার মুখমণ্ডলে রক্ত দেখা গেছে। এই ঘটনার পরপরই সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা হামলাকারীকে গুলি করলে তিনি নিহত হন। এছাড়া আরও দুজন এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বলে সিক্রেট সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। র্যালিতে উপস্থিত একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেন, গুলির শব্দ শোনার পর তারা একজন রাইফেলধারীকে ছাদে হামাগুড়ি দিতে দেখেছেন।
সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, গুলিতে ডান কানের ওপরের অংশে ফুটো হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, হঠাৎ করেই আমি বুঝতে পারি যে কিছু একটা ঘটে গেছে। আমি গুলির শব্দ শুনতে পাই এবং মনে হচ্ছিল আমার চামড়া ভেদ করে গুলি চলে গেছে। অনেক রক্ত বের হচ্ছিল এবং আমি বুঝতে পারলাম যে আসলে কী ঘটেছে। পোস্টের শেষে ট্রাম্প বলেন, ঈশ্বর আমেরিকার মঙ্গল করুন।