যশোরে পাচারকালে সোমবার উদ্ধার হওয়া দুটি সিংহ ও চিতাবাঘের বাচ্চা গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে ওই প্রাণিগুলো পার্কে পৌঁছেছে। এ নিয়ে সাফারি পার্কে সিংহের সংখ্যা হল- ২১, রয়েল বেঙ্গল ১১টিসহ বাঘের (চিতাবাঘের) সংখ্যা হল-২টি। তবে চিতাবাঘ এ পার্কে এ দুটি প্রথম।
সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোতালেব হোসেন জানান, যশোরের চাঁচড়া চেক পোস্টে একটি প্রাডো গাড়িযোগে পাচারকালে পুলিশ দুটি কাঠের বাক্সের মধ্যে লুকিয়ে রাখা প্রাণিগুলো উদ্ধার করে।
পরে থানায় মামলা করে আদালতের মাধ্যমে শাবকগুলোকে সোমবার বিকালে খুলনা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগে হস্তান্তর করা হয়। তারা রাতেই বাচ্চাগুলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেয়।
পরে মঙ্গলবার ভোর সোয়া ৪টার দিকে তা সাফারি পার্কে পৌঁছে। প্রাণী চারটির মধ্যে দুটি সিংহ বাচ্চা এবং অপর দুটি চিতাবাঘের বাচ্চা রয়েছে। সিংহের ছানা দুটির বয়স আড়াই থেকে তিন মাস এবং চিতাবাঘের বাচ্চাটির বয়স দেড় মাস হবে বলে মনে করছেন তারা। ফিডারের সাহায্যে শাবকগুলোকে দুধ খাওয়ানো হচ্ছে এবং পার্কের দুটি কক্ষে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
এদিকে যশোরের চাঁচড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সৈয়দ মো. বায়েজিদ সাংবাদিকদের বলেন, পাচারের সময় গাড়ি থেকে আটক আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় তারা জানান, ঢাকার উত্তরার ফায়েদাবাদ এলাকার জসিমউদ্দিনের দেয়া শাবকগুলোকে যশোরের শার্শা উপজেলার সামটা গ্রামের জনৈক ইদ্রিস আলীর কাছে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিল। পরে চাঁচড়া চেক পোস্টে গিয়ে তারা ধরা পড়েন। তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার আদালতে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।