মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে মধ্যরাতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডিবি পুলিশ প্রধানের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়েছে বলে মনে করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দিবাগত রাতে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী এ মন্তব্য করেন।
এর আগে রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেন ডিবির সদস্যরা। এ সময় ছাত্রদলসহ বিএনপি সহযোগী সংগঠনের সাতজনকে আটক করা হয় বলে ডিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
অভিযান শেষে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এখানে যাওয়ার পর বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। অভিযানে শতাধিকের বেশি ককটেল, সাতটি দেশি-বিদেশি অস্ত্র, ৫০০’র বেশি লাঠিসোঁটা জব্দ করা হয়েছে। এসময় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শ্রাবণসহ সাতজনকে আটক করা হয়েছে। যাদের আটক করা হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কেন তারা, কী উদ্দেশ্যে বিএনপি অফিসে অস্ত্র-ককটেল রেখেছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ডিবির এ অভিযানের বিষয়ে রিজভী বলেন, এ অভিযানের আগে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে, গুলি ফোটানো হয়েছে। একটি বাহানা তৈরি করে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলের প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। সেখান থেকে বিস্ফোরক লাঠিসোটাসহ নানা কিছু জনগণের সামনে তুলে ধরতে চায়।
তিনি বলেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় যখন শূন্য, নেতাকর্মীরা যখন ঘুমাচ্ছিল তাহলে মাঝরাতে কেন এ অভিযান? কারণ শূন্য কার্যালয়ে যেকোনো চক্রান্ত আঁটা যায়। এর আগেও ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল যে পুলিশ বিস্ফোরক নিয়ে বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে প্রবেশ করেছিল।
রিজভী বলেন, ডিবি পুলিশের এটা করা মানে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাথে যুক্ত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা বার্তা দেওয়া যে তারা যেন ভয় পেয়ে যায়। আমি এর তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা জানাচ্ছি।