শিক্ষার্থীদের পরিবর্তে বিএনপি-জামায়াত আগুনসন্ত্রাস নিয়ে মাঠে নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার পর আজ থেকে শিক্ষার্থীদের পরিবর্তে বিএনপি-জামায়াত কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে তাদের পুরোনো আগুন সন্ত্রাস নিয়ে মাঠে নেমেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নিরাপদ জায়গা হিসেবে ব্যবহার করে ইতোমধ্যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিধানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। প্রথম থেকেই পুলিশ সহনীয় ভূমিকা পালন করেছে, যার কারণে রাষ্ট্রপতি বরাবর শিক্ষার্থীরা তাদের স্মারকলিপি সরাসরি দিতে পেরেছে।
ধৈর্য ও সহনশীলতার সঙ্গে সরকার কোটা আন্দোলন পর্যবেক্ষণ করছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা দেশে বিএনপি জামায়াতের প্রশিক্ষিত ক্যাডাররাই তাণ্ডব চালাচ্ছে। তিন শতাধিক ছাত্রলীগের নেতাকর্মী মারাত্মকভাবে আহত। ছাত্রলীগের নারী শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিত করেছে। আবাসিক হলে আগুন দিয়েছে।
তিনি বলেন, সারা দেশে মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বরোচিত হামলা করে সরকার হটানোর ষড়যন্ত্র করছে পলাতক দণ্ডিত বিএনপি নেতা তারেক রহমান। নিশ্চিতভাবে আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে বিএনপি-জামায়াত এর ক্যাডার বাহিনী জড়িত। এর সাথে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো সম্পর্ক নেই।
ছাত্রদল শিবিরের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ছাত্রলীগের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ছাত্রলীগ শুরু থেকেই ধৈর্য ধারণ করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। আক্রান্ত হয়েছে কিন্তু কোথাও আক্রমণকারী হয়নি।
তিনি বলেন, হলে ছাত্রীদের ওপর হামলা, ছয় তলা থেকে ছাত্রলীগ কর্মীদের ফেলেছে। এই আন্দোলন আর সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নয়। লাশ ফেলে নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা করছে বিএনপি জামায়াত। খুব দ্রুত সময়ে এই ষড়যন্ত্রের স্বরূপ উন্মোচন হবে। দেশ বিরোধী রাজনীতির ধারা দেশে প্রচলনের ষড়যন্ত্র চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।