ইরানে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪০ জনে। ১২ হাজার বাড়ি-ঘর ধ্বংসস্তুূপে পরিণত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা কেবল সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছেন। হাজার হাজার মানুষ খোলা আকাশের নীচে বাস করছেন। ইরানের প্রেসিডেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। খবর বিবিসি’র
স্থানীয় সময় রবিবার রাতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে আহত হয়েছে আট হাজারের বেশি। সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দিতে তত্পর হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। ইরানে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কেরমানশাহ এবং ইলাম প্রদেশ। কেরমানশাহতে বহু বাড়ি-ঘর ধ্বংস হয়েছে। অনেককে বাইরে বাধ্য হয়ে বাস করতে হচ্ছে। ঠান্ডায় অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি কেরমানশাহ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেছেন, ধ্বংস হয়ে যাওয়া বেশিরভাগ ভবনই সরকারি মালিকানাধীন। ত্রুটিপূর্ণ নির্মানে যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রবিবার রাতে ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পের পর অন্তত ২শ’টি আফটারশক হয়। তিনটি আফটারশক ছিল বড়। এতে মানুষের মধ্যে আরো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৪২ বছর বয়সী আলী গুলানি বলেন, আমরা অসহায় অবস্থায় পড়েছি। এখানে কেবল শিশুদের কান্না শোনা যাচ্ছে। তারা ঠান্ডায় মৃতপ্রায়। আমাদের খাবার তো দূরের কথা, খাবার পানি পর্যন্ত নেই। আমাদের সহায়তা দরকার। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, ৭০ হাজার মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, চাইলে তারা সহায়তা করতে প্রস্তুত। রেড ক্রিসেন্টের কর্মকর্তা মানসুরেহ বাঘেরি জানিয়েছেন, ১২ হাজার বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।