ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হেফাজতে থাকা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। তবে তিনি তাদের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি।
সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে প্রবেশ করেন সোহেল তাজ।
পরে সন্ধ্যায় বের হয়ে ডিবি কার্যালয়ের গেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সোহেল তাজ। তিনি বলেন, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে সম্পদ ধ্বংস হয়েছে তা জনগণের টাকায় আবার করা যাবে। কিন্তু প্রাণের তুলনায় এই সম্পদ কিছুই নয়।
তিনি বলেন, বিবেকের তাড়নায়, সাধারণ নাগরিক হিসেবে সমন্বয়কদের সঙ্গে দেখা করতে ডিবিতে এসেছি। দেশের ওপর সবার হক আছে, এজন্য এসেছি। ছাত্র-ছাত্রীদের বুকে যেন আর একটা গুলিও না করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ, প্রতিটা প্রাণহানির বিচার করতে হবে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই দেশ তোমাদের, আশা ছাড়া যাবে না। সবসময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে।
ছয় সমন্বয়ককে ছাড়া হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে সোহেল তাজ বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকে বলেছেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলে ছাড়া হবে।
সোহেল তাজ বলেন, ডিবিপ্রধানের কাছে প্রশ্ন ছিল আমার। প্রথম প্রশ্ন- যে ছয়জন সমন্বয়ককে আনা হয়েছে তাদের গ্রেফতার নাকি সেইভ কাস্টডিতে নেওয়া হয়েছে? দ্বিতীয় প্রশ্ন- যদি গ্রেফতার হয়ে থাকে তাহলে আমার কোনো প্রশ্ন নেই, দাবি নেই। যদি সেইভ কাস্টডিতে নেওয়া হয় তবে আমি দেখা করতে চাই। তৃতীয় প্রশ্ন- তাদের সেইভ কাস্টডি থেকে কখন মুক্তি দেওয়া হবে।
‘এ সময় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কথা বলে ডিবিপ্রধান জানান, ছয়জন সমন্বয়ক যেহেতু তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন সেহেতু সেইভ কাস্টগিতে নেওয়া হয়েছে।’ বলেন সোহেল তাজ।
তিনি আরও বলেন, আমি তাকে পাল্টা প্রশ্ন করি ছয় সমন্বয়ক তাদের নিরাপত্তা নিয়ে কীভাবে উদ্বিগ্ন? তারা (সমন্বয়ক) কি আপনাদের জানিয়েছিলেন? ডিবিপ্রধান জবাবে জানান, তাদের মনিটরিং করে বুঝতে পেরেছেন সমন্বয়করা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
সাবেক এই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, এরপর আমি ছয় সমন্বয়কের সঙ্গে দেখা করার প্রস্তাব দেই ডিবিপ্রধানকে। আমাকে জানানো হয়, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পারমিশন নিয়ে আমাকে তাদের সঙ্গে দেখা করতে হবে।