• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
৩৪০ মিসাইল দিয়ে ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর হামলা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি রহস্যময় ড্রোনের দেখা মিলল ব্রিটেনের তিন মার্কিন বিমানঘাঁটির আকাশে নানা আলোচনা মির্জা ফখরুলের স্ট্যাটাস ঘিরে সড়ক অবরোধ করে আজও রিকশাচালকরা বিক্ষোভ করছেন পাচার করা অর্থ ড. ইউনূসের ইমেজ কাজে লাগিয়ে ফেরত আনা সম্ভব হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে হেফাজতের সমাবেশে গণহত্যয় ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ হামলা ও ভাঙচুরের ধ্বংসস্তূপ সোহরাওয়ার্দী-নজরুল কলেজ, পরীক্ষা দিতে পারেননি শিক্ষার্থীরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১১ জনের মৃত্যু বৈধপথে ২৩ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২০ হাজার ৭১৬ কোটি টাকা নির্বাচন নিয়ে যা জানালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার

লেবাননের সশস্ত্র গ্রুপ ইসরাইলের রকেট হামলা চালিয়েছে

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ৪ আগস্ট, ২০২৪
ছবি : সংগৃহীত

ইসরাইলের ওপর নতুন করে রকেট হামলা শুরু করেছে লেবাননের সশস্ত্র গ্রুপ হিজবুল্লাহ। ইরানে হামাসের রাজনৈতিক বিভাগের প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার পর আক্রমণের ঝাঁজ বাড়িয়ে দিয়েছে সব পক্ষই। স্থানীয় সময় অনুযায়ী শনিবার হিজবুল্লাহর রকেট মুহুর্মুহু আছড়ে পড়ে ইসরাইলের মাটিতে। তাতে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি। হামলার দায় স্বীকার করে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ইসরাইলের কয়েকজন সাধারণ নাগরিকও এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। যদিও ইসরাইলের দাবি, তাদের অত্যাধুনিক ডোম সিস্টেমের মাধ্যমে হিজবুল্লাহর ছোড়া অধিকাংশ রকেট মাটি ছোঁয়ার আগেই গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মধ্যে যুদ্ধ চলছিলই। সক্রিয়ভাবেও হামাসের পাশে দাঁড়িয়ে ইসরাইলকে আক্রমণ করেছে লেবাননের হিজবুল্লাহ বা ইয়েমেনের হাউছিরা। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাবলী পশ্চিম এশিয়ার যুদ্ধের চরিত্র বদলে দিয়েছে। ইরানে হামাসের রাজনৈতিক বিভাগের প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার পর সংঘাত তীব্রতর হয়েছে। পশ্চিম এশিয়ায় নতুন সংঘাত আরো প্রকট হতে চলেছে বলে আশঙ্কা করছেন পর্যবেক্ষকেরা। এই সংঘাতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে নামতে পারে ইরান। যে আশঙ্কা করে তৎপর হয়েছে আমেরিকাও।

হিজবুল্লাহর তরফে হামলার কারণ হিসেবে হানিয়া হত্যার কথা উল্লেখ করা হয়নি। তারা জানিয়েছে, সম্প্রতি লেবাননের দুই গ্রামে ইসরাইলের রকেট বর্ষণ এবং হিজবুল্লাহর সামরিক বাহিনীর সিনিয়র কমান্ডারকে হত্যার বদলা নিতে এই হামলা চালানো হয়েছে। আগামী দিনে আরও বড় হামলার হুঁশিয়ারিও দেয়া হয়েছে। হিজবুল্লাহর হামলায় কোনো প্রাণহানির কথা স্বীকার করেনি ইসরাইল।

ইসরাইল এবং হামাসের যুদ্ধে প্রথম থেকেই ইসরাইলের পাশে দাঁড়িয়েছিল আমেরিকা। হানিয়া হত্যার পর ইরান বদলা নিতে পারে বলে আশঙ্কা করে আগেভাগেই তারা পশ্চিম এশিয়ায় মোতায়েন করা সেনাসদস্যের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই পরিস্থিতিতে ইরানকে সংযত থাকতে বলেছেন। তার আশা, হানিয়া হত্যার প্রতিশোধ নিতে বড় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে পশ্চিম এশিয়ার শান্তি বিঘ্নিত করবে না ইরান।

তবে পর্যবেক্ষকদের মতে, পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি ক্রমে আরো জটিল হচ্ছে। ইরান হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ইরান-ইসরাইল সংঘাত এবং আমেরিকার হস্তক্ষেপ আগামী দিনে যুদ্ধকে তীব্রতর করতে পারে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ