ইরানের রাজধানী তেহরানে আবাসস্থলে বোমা বিস্ফোরিত হয়ে গত সপ্তাহে নিহত হন হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া। পরে ইরানে ও কাতারে আনুষ্ঠানিকতা শেষে কাতারের লুসাইল রয়্যাল কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এরপরই নিজেদের নতুন নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে হামাস। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠীটি এই তথ্য সামনে এনেছে বলে রোববার (৪ আগস্ট) জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার পর নিজেদের আন্দোলনের নতুন নেতা নির্বাচনের জন্য বিস্তৃত পরামর্শ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে বলে হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
হানিয়া ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠীটির রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ছিলেন। তার ডেপুটি সালেহ আল-আরৌরি গত জানুয়ারিতে বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন। তিনি বেঁচে থাকলে হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের পর তিনিই স্বয়ংক্রিয়ভাবে হামাস প্রধান পদে প্রতিস্থাপন হতেন।
গোষ্ঠীর প্রধান পরামর্শক সংস্থা শুরা কাউন্সিলের বৈঠকের পর হামাসের বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার মধ্য থেকে কেউ হানিয়াকে প্রতিস্থাপন করতে পারেন।
গত বুধবার ইরানের রাজধানী তেহরানে গুপ্তহত্যার শিকান হন ইসমাইল হানিয়া। এর আগের দিন তিনি ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুজ পেজেশকিয়ানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তেহরানে যান। অনুষ্ঠান শেষে তেহরানের একটি গেস্ট হাউজে উঠেন হানিয়া। সেখানেই আগে থেকে রাখা বোমা বিস্ফোরণে এক দেহরক্ষীসহ নিহত হন তিনি।
বৃহস্পতিবার তেহরানে ইসমাইল হানিয়ার প্রথম জানাজা হয়। এতে ইমামতি করেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। জানাজা শেষে তার মরদেহ বহনকারী কফিন তেহরানের রাস্তা প্রদক্ষিণ করে।
পরদিন শুক্রবার কাতারের সবচেয়ে বড় মসজিদ ইমাম মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওয়াহাবে হামাস প্রধানের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। হানিয়ার জানাজায় উপস্থিত ছিলেন হামাসের উচ্চপদস্থ নেতারা। যার মধ্যে ছিলেন খালিদ মেশালও। তিনি হানিয়ার স্থলাভিষিক্ত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এছাড়া বিশ্বের অনেক বিমান সংস্থা ইসরায়েলের তেল আবিবে বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।