দেশের তারকাদের পাশাপাশি চলমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন বলিউড-টালিউডের অনেকেই। সেই তালিকায় রয়েছেন কঙ্গনা রানাউত, সোনম কাপুর, সোনু সুদ, শ্রীলেখা মিত্র, স্বস্তিকা মুখার্জি, জিৎ, দেবসহ অনেকেই। তাদের কেউ বাংলাদেশের মানুষের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন, কেউ আবার চেয়েছেন দ্রুত বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে থাকুক, অস্থিরতা দূর হোক।
বলিউড অভিনেত্রী সোনম কাপুর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এটা সত্যই বাংলাদেশে যা ঘটছে, খুবই ভয়ানক ঘটনা চলুন, সবাই মিলে বাংলাদেশের মানুষের জন্য প্রর্থনা করি।’ অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য কঙ্গনা বলেছেন, ‘ভারত হলো তার আশেপাশের সব মুসলিম রাষ্ট্রের আসল বন্ধুরাষ্ট্র। আমরা গর্বিত এবং সম্মানিত যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতে সুরক্ষিত বোধ করেন। আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ব্রিটেনে যা ঘটছে, সেটা খুবই দূর্ভাগ্যজনক।
বলিউডের বিতর্কিত অভিনেত্রী কঙ্গনা মন্তব্য করেন, ‘ভারত হলো তার আশপাশের সব মুসলিম রাষ্ট্রের আসল বন্ধুরাষ্ট্র। আমরা গর্বিত এবং সম্মানিত যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতে সুরক্ষিত বোধ করেন। আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ব্রিটেনে যা ঘটছে, সেটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।
বলিউড অভিনেতা সোনু সুদ অবশ্য লুটপাট, ভাঙচুর, সহিংসতা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এমনকি বাংলাদেশে থাকা ভারতীয়দের নিরাপত্তা নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। সোনু বলেন, ‘এবার আমাদের সেরাটা দেওয়া উচিত। আমাদের সকল ভারতীয় সহকর্মী ও নগরিকদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে জানার জন্য। এটা শুধু ভারতীয় সরকারের কর্তব্য নয়, একই সঙ্গে এটা আমাদেরও দায়িত্ব।
শুধু বলিউড তারকারাই নয়, বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলেছেন টালিউড তারকারাও। অবশ্য শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন নিয়ে শুরু থেকেই পাশে ছিলেন কলকাতার অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। তিনি শিক্ষার্থীদের গুলি করে হত্যার বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীদের সাহস জোগানোর চেষ্টা করেছেন।
স্বস্তিকা মুখার্জি লিখেছেন, ‘যে প্রজন্মকে শাপশাপান্ত করেছে সকলে, তাদেরকে স্বার্থপর বলা হয়েছে। তারাই সবচেয়ে বেশি স্বার্থ ত্যাগ করে দেখাচ্ছে। নজরুল ফিরে আসছেন র্যাপ মিউজিক হয়ে, ফিরে আসছে কাব্য, স্লোগান। ১৯৫২, ১৯৭১, ১৯৯০ সালে বাঙালিকে দাবিয়ে রাখা যায়নি। ২০২৪ সালেও দাবিয়ে রাখা যাবে না।
দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলন নিয়ে তিনি বরাবরই সরব ছিলেন। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তাদের পক্ষে নিজের অবস্থানও নিশ্চিত করেন এই নায়িকা। এবার সরকার পতনের পর একটি ছবি শেয়ার করে শ্রীলেখা লিখেছেন, ‘ছাত্ররা আগামীর স্বপ্ন দেখে ধ্বংস করে না।’ তার শেয়ার করা ছবিতে লেখা ছিলো, ‘আপনারা আশে পাশের মন্দির-গির্জার খেয়াল রাখুন। কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিশোধ নেয়ার জন্য ছাত্ররা বুলেটের সামনে বুক পেতে দেয়নি।
অভিনেতা জিৎ লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের এই কঠিন সময়ে আমার প্রার্থনা বাংলাদেশের মানুষদের জন্য। যে সমস্ত ঘটনা সামনে আসছে, সেটা খুবই দুঃখজনক। এই ধরনের মর্মান্তিক দৃশ্যের সাক্ষী হওয়া হৃদয়বিদারক। আশা করি, এই কঠিন সময় খুব তাড়াতাড়ি পেরিয়ে যাব। প্রতিটা জীবনই মূল্যবান, তাই যেকোনো মূল্যে সেটা রক্ষা হওয়া আবশ্যিক। শান্তি বজায় থাকুক।’
পরমব্রত লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ প্রসঙ্গে শেষ পর্যন্ত নীরবতা ভঙ্গ করছি। আন্দোলনের ওপর সে দেশের সরকার ক্রমাগত যে আক্রমণ চালিয়ে গেছে, তা ন্যাক্কারজনক। যা আজ এক চরম পরিণতি পেয়েছে। তবে ওত পেতে থাকা কিছু স্বধীনতাবিরোধী, কট্টরপন্থী শক্তি আপনাদের এই অসামান্য অন্দোলন হাইজ্যাক করে ফেলছে না তো? এক ফ্যাসিষ্টকে সরিয়ে আরো বড় ফ্যাসিবাদকে জায়গা করে দেবেন না।