আড়াই বছরের যুদ্ধে গত মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকালে প্রথমবারের মত ইউক্রেনের সেনারা সীমান্ত পার হয়ে রাশিয়ার পশ্চিমের কুরস্ক অঞ্চলে হামলা শুরু করে।
পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম গুলো বলছে এই হামলা শুরুর পর থেকে গত পাঁচ দিনে রাশিয়ার ভেতরে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার অগ্রসর হয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
খবর রয়টার্স
গত শুক্রবার(৯ আগস্ট) কুরস্ক অঞ্চলে হামলা চালিয়ে রাশিয়ার একটি বিমানঘাঁটির গুদামে রক্ষিত শত শত বোমা, অস্ত্র ও গোলাবারুদ ধ্বংস করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। সুখোই ৩৪ ও ৩৫ এবং মিগ-৩১ যুদ্ধবিমানের বহর মোতায়েন করে রাখার জন্য রাশিয়ার ওই বিমানঘাঁটির বিশেষ পরিচিতি রয়েছে।
বর্তমানে কুরস্ক অঞ্চলে থাকা রাশিয়ার একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছাকাছিও লড়াই হচ্ছে। এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিওতে দেখা যায়, কুরস্কের সড়কে রাশিয়ার অন্তত ১৫টি সামরিক যান ধ্বংস হয়ে পড়ে রয়েছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরু করার পর থেকে ইউক্রেন রাশিয়ায় একাধিক পাল্টা হামলা করলেও এবারের মতো ভেতরে ঢুকে কখনো হামলা করতে পারেনি।
হামলা প্রতিরোধে গতকাল (১০ আগস্ট) ইউক্রেন সীমান্ত লাগোয়া তিনটি অঞ্চলে বড় ধরনের পাল্টা হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। মস্কো এ হামলাকে ‘সন্ত্রাসবাদবিরোধী অভিযান’ হিসেবে বর্ণনা করছে। গতকাল কুরস্ক ছাড়াও বেলগরোদ ও ব্রায়নস্ক অঞ্চলে অভিযান শুরু করেছে রাশিয়া।
ইউক্রেনীয় সেনাদের আরও অগ্রসর হওয়া ঠেকাতে অতিরিক্ত ট্যাংক, কামান, রকেট লঞ্চার ছাড়াও বিমানবাহিনীর বিশেষ ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানায়, রুশ বাহিনীর পাল্টা হামলায় এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেনের ২৮০ জনের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন।