হামাস এবং ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ নেতার হত্যাকাণ্ডের পর উত্তেজনা বাড়তে থাকায় মধ্যপ্রাচ্যে একটি মিসাইল সাবমেরিন পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে একটি বিমানবাহী রণতরী মধ্যপ্রাচ্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে বলেও জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন।
বিমানবাহী রণতরী ‘ইউএসএস আব্রাহাম লিংকন’ ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের পথে ছিল। এটিকে আরও দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই রণতরীতে এফ-৩৫এস যুদ্ধবিমান রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে হিজবুল্লাহ এবং হামাস নেতাদের হত্যার পর একটি বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাতের আশঙ্কার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
ইরানের যেকোনো আক্রমণ থেকে ইসরাইলকে রক্ষা করতে সাহায্য করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় সংকল্পের ইঙ্গিত দিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রকে রক্ষা করার জন্য ‘সকল সম্ভাব্য পদক্ষেপ নেব।
রোববার এক বিবৃতিতে পেন্টাগন জানিয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অষ্টিন মধ্যপ্রাচ্যে গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিন ‘ইউএসএস জর্জিয়া’ মোতায়েন করেছে। এছাড়া এফ-৩৫সি যুদ্ধবিমান বহনকারী রণতরী ‘ইউএসএস আব্রাহাম লিংকন’ এর যাত্রা আরও দ্রুত করার নির্দেশ দিয়েছেন। জাহাজটি ইতিমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি মার্কিন রণতরীকে প্রতিস্থাপনের পথে ছিল।
ইরান কী ধরনের প্রতিশোধ নিতে পারে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এদিকে, ইসরাইলের ওপর আরেকটি সম্ভাব্য হামলা লেবাননে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকেও আসতে পারে। হিজবুল্লাহ তাদের সিনিয়র কমান্ডার ফুয়াদ শুকর হত্যাকাণ্ডের জবাব দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তেহরানে হামাস নেতা হানিয়া নিহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে লেবাননে হামলা চালিয়ে ফুয়াদ শুকরকে হত্যা করে ইসরাইল। সূত্র: রয়টার্স।