দেশবাসীর উদ্দেশে খোলা চিঠি দিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে মুক্তিযুদ্ধে নিজের স্বজন হারানোর ব্যথা তুলে ধরলেন। সেই সময়ের সঙ্গে তুলনা করলেন সাম্প্রতিক বাংলাদেশের পরিস্থিতির। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত ‘স্মৃতি জাদুঘর’ ধ্বংস নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করলেন হাসিনা। এমন প্রেক্ষাপটে আগামী ১৫ অগাস্ট বাংলাদেশের উদ্দেশে জাতীয় শোক দিবস পালনের ডাক দিলেন তিনি।
সম্প্রতি দেশ ছাড়ার পর থেকে তার ‘প্রথম বিবৃতি’ প্রকাশিত হয়েছিল বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। যদিও পরে পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় জানান, সেগুলি ভিত্তিহীন। এমন কোনও অফিসিয়াল বিবৃতি বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি দোষারোপ করেননি শেখ হাসিনা। তবে এবার সরাসরি নিজের এক্স হ্যান্ডেলের মাধ্যমেই মায়ের জাতির উদ্দেশে বার্তা তুলে ধরলেন সজীব।
শেখ হাসিনা খোলা চিঠিতে লিখেছেন, স্বজনহারার বেদনা চেপে রেখেই তিনি বাংলাদেশের উন্নতির জন্য কাজ করে চলেছিলেন। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু বর্তমানে ফের বাংলাদেশে নৈরাজ্যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘গত জুলাই মাস থেকে আন্দোলনের নামে যে নাশকতা, অগ্নি সন্ত্রাস ও সহিংসতার কারণে অনেকগুলি তাজা প্রাণ ঝরে যাচ্ছে।
হাসিনা লিখেছেন, ‘যে স্মৃতিটুকু আমাদের বেঁচে থাকার অবলম্বন ছিল তা পুড়িয়ে ছাই করে দেয়া হয়েছে। চরম অবমাননা করা হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি, যার নেতৃত্বে আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মমর্যাদা পেয়েছি আত্মপরিচয় পেয়েছি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। লাখো শহীদের রক্তের প্রতি অবমাননা করেছে । আমি দেশবাসীর কাছে এর বিচার চাই।
৭৬ বছর বয়সী হাসিনা বলেন, জুলাই মাসে ‘বিপ্লবের নামে’ অনেক মানুষ মারা গেছে। তিনি বলেন, ‘আমি দাবি করছি, যারা এই হত্যাকাণ্ড ও ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত তাদের সঠিকভাবে তদন্ত করা হোক এবং দোষীদের চিহ্নিত করে সেই অনুযায়ী শাস্তি দেয়া হোক।’ ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশি নেত্রী তার সমর্থকদের তার বাবার হত্যার বার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকায় জনসমক্ষে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বিবৃতিতে বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস যথাযথ সম্মান ও গাম্ভীর্যের সাথে পালন করার জন্য আবেদন করছি।’