রাজধানীর শ্যামপুরে আন্দোলনের সময় ও মিরপুর পুলিশ লাইনে অস্ত্রাগারে মিস ফায়ারে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত দুই পুলিশ সদস্য মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ। বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পুলিশ সদস্য খলিলুর রহমান।
গত ৫ আগস্ট আন্দোলনের সময় আহত পুলিশ কনস্টেবল খলিলুর রহমান (৫৩) ও বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মারা যান। গত ১২ আগস্ট মিরপুর পুলিশ লাইনে মিস ফায়ারে গুলিবিদ্ধ আহত হন পুলিশের এএসআই আল-আমিন (৩১)।
মৃত আল-আমিন লালমনিরহাট সদর জেলার গোকুস্তা কাচাড়িপাড়া গ্রামের বককার আলীর ছেলে। তিনি দারুস সালাম থানায় কর্মরত ছিলেন।
কাফরুল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান সুরতহাল রিপোর্টে উল্লেখ করেন, সোমবার (১২আগস্ট) বিকেলে মিরপুর পুলিশ লাইনসে জমাকৃত অস্ত্র আনতে যায় দারুস সালাম থানার এএসআই আল-আমিনসহ অনেকেই। সেখানে এএসআই ইয়াছিন আলী নামে একজন পুলিশ সদস্যের হাত থেকে পিস্তলের গুলি বের হয়ে আল আমিনের পেটের বামপাশে বিদ্ধ হয়ে পিঠ দিয়ে বের হয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন সহকর্মীরা। সেখান থেকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এদিকে শ্যামপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তোরগুল হাসান সোহাগ সুরতহাল রিপোর্টে উল্লেখ করেন, গত ৫ আগস্ট বিকেলে শ্যামপুর থানার পুলিশ সদস্য খলিলুর রহমানকে মারপিট করে ছাদ থেকে ফেলে দেয়। আহত অবস্থায় তাকে ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বিকেলে মারা যান তিনি।
মৃত খলিলুর রহমানের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার তালতলা গ্রামে। বাবার নাম মৃত আফাজ উদ্দিন। বর্তমানে শ্যামপুর থানায় কর্মরত ছিলেন।