• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৩ অপরাহ্ন

স্বস্তি সবজিতে, অস্বস্তি চাল, ডাল, মরিচে

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শুক্রবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৪

সরকার পতনের পর কমেছে সবজি ও মুরগিসহ বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম। শিক্ষার্থীদের বাজার তদারকি অব্যাহত থাকায় রাজধানীসহ চট্টগ্রাম, বরিশাল ও রাজশাহীতে বিভিন্ন পণ্যের দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও অস্থির চাল-ডালের বাজার। কমেনি কাঁচামরিচের দামও।

ঢাকাসহ দেশের পাইকারি ও খুচরা বাজারে অনেকটাই নীরবে বাড়ছে চালের দাম। খুচরায় বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) সব ধরনের চালের দাম ১৫০ থেকে ২০০ টাকা এবং প্রতি কেজিতে তিন থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা অর্থাৎ মিল ও পাইকারি পর্যায়ে সরবরাহ তদারকি করলে জিনিসপত্রের দাম কমতে পারে।

সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজারদর তথ্যেও চড়া দামে চাল বিক্রির বিষয়টি দেখা গেছে।

টিসিবির বাজারদর প্রতিবেদনে দেখা যায়, সরু বা চিকন চাল মানভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ থেকে ৭৮ টাকা।

পাইজাম চাল কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৫৪ থেকে ৫৮ টাকায়।

এ ছাড়া যেসব সবজির দাম কিছুটা বাড়তি সেই তালিকায় আছে করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, মূলা ৮০ টাকা, কচুরমুখি ৭০, টমেটো ১৫০, গাজর ১০০ টাকা এবং কচুরলতি প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়, আগের সপ্তাহে যা ৫৫-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। এ ছাড়া প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। তবে ছোট দোকানগুলোতে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৮০-৪০০ টাকা পর্যন্ত।

এ ছাড়া পটোল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, পেঁপে ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০, শসা ৬০, ধুন্দল ৫০, চিচিঙ্গা কেজি ৬০, ঝিঙা ৬০, লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, জালি প্রতি পিস ৬০ টাকা, কাঁকরোল প্রতি কেজি ৬০ টাকা ও বেগুন ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি রুই ৩২০-৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০-২৫০ টাকা ও পাঙাশ মাছ ২০০-২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আগের দুই সপ্তাহে এসব মাছে কেজিতে ৩০-৫০ টাকা বাড়তি দাম ছিল। ইলিশ মাছ ও গরুর মাংসের দামও কিছুটা কমেছে। এ ছাড়া ফার্মের মুরগির বাদামি ডিমের দাম ডজনে ৫ টাকা কমে ১৪৫ টাকা হয়েছে।

বাজারে সবজির দাম আগের তুলনায় কমেছে, তবে এর মূল কারণ হলো পথে পথে যে সবজি পরিবহণের চাঁদাবাজি ছিল, কারণ বাজারেও বিভিন্ন জায়গায় যে টাকা দিতে হতো সেগুলো এখন দিতে হচ্ছে না। যে কারণে এর প্রভাব সরাসরি পড়েছে সবজির বাজারে। এ জন্যই সবজি বিক্রেতারা তুলনামূলক কম দামে সবজি বিক্রি করতে পারছেন। এ ছাড়া এলাকাভিত্তিক স্থানীয় বাজারগুলোতে শিক্ষার্থীরা এসে বাজার মনিটরিং করছে। সব মিলিয়ে আগের তুলনায় সবজির দাম বাজারে কমেছে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ