গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ও পণবন্দী মুক্তি নিয়ে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যেসব নতুন শর্ত যোগ করেছেন, তা ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস সুনির্দিষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। কাতারে চলমান যুদ্ধবিরতি আলোচনা নিয়ে সারা দুনিয়ার মিডিয়া ইতিবাচক খবর প্রকাশ করলেও বাস্তব অবস্থা ভিন্ন বলেই মনে হচ্ছে।
হামাসের সূত্র মিডল ইস্ট আইকে শুক্রবার জানিয়েছে, ‘ইসরাইলি প্রতিনিধিদল বাইডেনের প্রস্তাবের সাথে নতুন কিছু শর্ত যোগ করার চেষ্টা করছে।’
সূত্রটি জানায়, ‘হামাস সুনির্দিষ্টভাবে নেতানিয়াহুর শর্তাবলী প্রত্যাখ্যান করেছে।’
আলোচনার অবস্থা সম্পর্কে হামাস সূত্রটি জানায়, ‘ইসরাইলি ও আন্তর্জাতিক সকল মিডিয়া আলোচনাকে ইতিবাচক হিসেবে চিত্রিত করেছে। কিন্তু তেমন পরিস্থিতি দেখা যায়নি, এসব তথ্য বিভ্রান্তিপূর্ণ। ইসরাইলিরা চাচ্ছে, হানিয়াকে হত্যার প্রেক্ষাপ আঞ্চলিক উত্তেজনাকে সংযত রাখার জন্য এমন খবর প্রকাশ করতে।’
এদিকে আন্তর্জাতিক মধ্যস্ততাকারী যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, আলোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও গঠনমূলক পর্যায়ে উপনীত হয়েছে, তারা ইতিবাচক পরিবেশ দেখতে পেয়েছেন।
তারা বলেন, এখনো অনেক ব্যবধান রয়ে গেছে। এগুলো দূর করতে হবে।
আলোচনায় হামাস উপস্থিত নেই। তবে তারা মিসর ও কাতারের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছে। তারা বলছে, বর্তমান যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটি বাস্তবায়নের দিকেই মধ্যস্ততাকারীদের নজর দিতে হবে।
হামাস ও ইসরাইল গত জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি ও পণবন্দী মুক্তি নিয়ে পরোক্ষ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে মধ্যস্ততা করছে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর।
গত মে মাসে বাইডেন প্রশাসন যুদ্ধবিরতির একটি রূপরেখা দিয়েছে। তবে ইসরাইল প্রতিনিয়ত এতে নতুন নতুন শর্ত যোগ করে আলোচনাকে ভণ্ডুল করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সূত্র : মিডল ইস্ট আই