ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ও পণবন্দী মুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের দেয়া প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। যুদ্ধবিরতি আলোচনায় নতুন নতুন শর্তারোপের মাধ্যমে ইসরাইল জটিলতা সৃষ্টি করেছ অভিযোগ এনে রোববার সন্ধ্যায় তাদের অভিমত প্রকাশ করে হামাস।
এর আগে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার মন্ত্রীদের বলেছিলেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই হওয়া নিয়ে তিনি সংশয়ে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, এবারের আলোচনায় হামাস তাদের প্রতিনিধিদের পাঠায়নি। মধ্যস্থতাকারীরা ইসরাইলের সাথে আলোচনা করে তা হামাসকে জানাচ্ছিল।
মধ্যস্থতাকারীরা কয়েক দিন ধরে বলছিলেন যে আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছে। কিন্তু হামাস ও নেতানিয়াহুর প্রতিক্রিয়ায় তেমনটি মনে হয়নি।
নেতানিয়াহু আজ সোমবার সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সাথে বৈঠক করবেন। এতে গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়টিই গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে বর্তমানে যে বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বিরোধে নিয়োজিত রয়েছে, তা হলো ফিলাডেলফি করিডোরে ইসরাইলি বাহিনীর অবস্থান নিয়ে। ইসরাইল সেখান থেকে সরতে রাজি নয়। তারা বলছে, হামাস এই পথেই অস্ত্র আমদানি করে থাকে। আর হামাস বলছে, এখানে ইসরাইলের উপস্থিতি তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
হামাস জোর দিয়ে বলছে, ফিলাডেলফি করিডোরসহ পুরো গাজা থেকে ইসরাইলের পূর্ণ প্রত্যাহার এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ছাড়া কোনো চুক্তিই হবে না।
উল্লেখ্য, ফিলাডেলফি করিডোরে ইসরাইলি বাহিনী অবস্থানের কোনো কথা মূল প্রস্তাবে ছিল না। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু পরে এটি যোগ করেন।
হামাস রোববার সন্ধ্যায় দেয়া বিবৃতিতে জানায়, নেতানিয়াহু নতুন নতুন শর্ত যোগ করে গাজায় যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করতে চাচ্ছে।
হামাস জানায়, যুক্তরাষ্ট্র নতুন যে সংশোধিত প্রস্তাব দিয়েছে, তা আসলে ইসরাইলের নতুন শর্তগুলোর সংযুক্ত।
সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল, জেরুসালেম পোস্ট