৫ আগস্ট ব্যাপক গণবিক্ষোভের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে বাংলাদেশে। গত ১৫ বছরের শাসনমালে শেখ হাসিনাকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে এসেছে ভারত।
বিপরীতে মানবাধিকার এবং ভোটাধিকারসহ নানা ইস্যুতে হাসিনার উপর অসন্তোষ ছিল মার্কিন প্রশাসনের। বাংলাদেশে সরকার পতনের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত বলেও অভিযোগ রয়েছে হাসিনার।
এদিকে রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গোপনে বাংলাদেশের মতো ভারতে সরকার পরিবর্তনের ছক কষছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ বন্ধুত্বের আড়ালে নাকি মোদি সরকারকে উৎখাতের জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এ জন্য অন্ধ্র প্রদেশের ব্যাপটিস্ট চার্চ এবং বিরোধী নেতাদের সাথে যোগাযোগ করছে তারা।
এতে আরো দাবি করা হয়, ক্ষমতাসীন বিজেপির রাজনৈতিক জোট এনডিএ ভাঙতে তৎপরতা সিআইএ। এজন্য অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুকে টার্গেট করেছে গোয়েন্দা সংস্থাটি।
পাকিস্তানে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। ভারতের বর্তমান মোদি সরকারও জোটের উপর নির্ভরশীল। জোট ভাঙলে সরকার ঠিকিয়ে রাখতে হুমকির মুখে পড়তে পারে নরেন্দ্র মোদি।
স্পুটনিকের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সিআইএ ভারতের বিরোধী নেতাদের সঙ্গে দেখা ও আলোচনা করেছে। দিল্লির মার্কিন কনসাল জেনারেল জেনিফার লারসেন সম্প্রতি হায়দরাবাদে এআইএমআইএম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসির সঙ্গে দেখা করেছেন।
এর আগে তিনি মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গেও দেখা করেছিলেন এই মার্কিন কূটনীতিক। শুধু তাই নয়, তিনি তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গেও দেখা করেন। এসব সাক্ষাতকে বেশ সন্দেহের চোখে দেখছে রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমটি।