• শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৬ অপরাহ্ন

নতুন বাংলাদেশ সবাইকে শক্তিশালী করে তুলছে : মিম

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৪
বিদ্যা সিনহা মিম

ভয়াবহ বন্যায় পানিবন্দি হয়ে আছে দেশের প্রায় অর্ধকোটি মানুষ। লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ফেনীসহ ১১ জেলা প্লাবিত হয়েছে। দেশের এমন বিপর্যয়ে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তারকারাও। ইতোমধ্যে ডিপজল, তোরসা, ইরফান সাজ্জাদ, রুকাইয়া জাহান চমক, আসিফ আকবর, পরীমণি ও সিয়ামসহ অনেকেই বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও ব্যক্তিগতভাবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম। সেই সঙ্গে দেশবাসীর এমন একতাবদ্ধ হয়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানো মন জয় করেছে অভিনেত্রীর।

গণমাধ্যমে এ প্রসঙ্গে মিম বলেন, নতুন বাংলাদেশ সবাইকে শক্তিশালী করে তুলছে। আমার মনে হয়, এখন আর কেউ একা অনুভব করবে না। ফেনী, কুমিল্লার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে যেভাবে গোটা বাংলাদেশের মানুষ দাঁড়িয়েছে— এটি তার প্রমাণ। এখন আমরা কেউই একা নই। বিষয়টি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি সুন্দর লেগেছে। এ ছাড়া শিল্পীসমাজ যে যেভাবে পেরেছে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শিল্পীসমাজ এর আগেও সাধারণ মানুষের পাশে ছিল। কিন্তু এবারের বিষয়টি আগের সবকিছুর চেয়ে আলাদা। আমি দেখলাম অনেকে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী খাবার নিয়ে বন্যায় প্লাবিত অঞ্চলে ছুটে গেছেন। অনেকে ঢাকায় বসেই তাদের জন্য সহযোগিতা করছেন।

অভিনেত্রীর ভাষ্য, সবাই পাশে থাকলে আমাদের চেয়ে শান্তিতে আর কোনো দেশের মানুষ থাকবে না। এই একতা ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। এভাবে একতাবদ্ধ হয়ে সবাই মানুষের পাশে থাকলে অনেকদূর এগিয়ে যাবে দেশ।

জানা গেছে, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে বাংলাদেশ-সংলগ্ন ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যে বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ খুলে দিয়েছে ত্রিপুরা রাজ্য সরকার। ফলে গোমতী ও ফেনী নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল তলিয়ে গেছে। মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এবারের বন্যায় ১২ জেলায় মোট ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৪৯ লাখ ৩৮ হাজার ১৫৯। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৫৪৮টি। এখন পর্যন্ত ১২ জেলায় মোট ১৮ জন মারা গেছে বন্যায়। এর মধ্যে ফেনীতে একজন, কুমিল্লায় চারজন, চট্টগ্রামে পাঁচজন, নোয়াখালীতে তিনজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন, লক্ষ্মীপুরে একজন এবং কক্সবাজারে তিনজন মারা গেছে।

ইতোমধ্যে বন্যার্তদের উদ্ধার করে নিরাপদে রাখতে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে তিন হাজার ৫২৭টি। বর্তমানে এসব কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে দুই লাখ ৮৪ হাজার ৮৮৮ জন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ