• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:

উত্তেজনার মধ্য কাতারি প্রধানমন্ত্রীর ইরান সফর, নতুন কিছু ঘটবে?

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বুধবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৪

কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল সানি ইরান সফর করার পর মার্কিন বিশেষ দূত ব্রেট ম্যাকগার্কের সাথে বৈঠক করেছেন। তার এই কূটনৈতিক মিশন মধ্যপ্রাচ্যে নতুন মাত্রার সৃষ্টি করতে পারে বলে কেউ কেউ মনে করছেন।

এক মার্কিন কর্মকর্তা মঙ্গলবার দোহায় মার্কিন দূত ম্যাকগার্কের সাথে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর বলেন, সানির তেহরান সফরের প্রেক্ষাপটে হওয়া এ দুজনের আলোচনায় গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং পণবন্দী মুক্তির বিষয়গুলোর পাশাপাশি আঞ্চলিক ইস্যুগুলোও স্থান পায়।

দশ মাস ধরে চলা গাজা যুদ্ধ সমাপ্তি এবং হামাসের হাতে থাকা ১০৮ পণবন্দীর মুক্তির ব্যাপারে কাতারের প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।

রোববার কায়রোতে যুক্তরাষ্ট্র-নেতৃত্বাধীন এক শীর্ষ বৈঠকের পর সোমবার ইরান সফরে যান কাতারের প্রধানমন্ত্রী। কায়রোতে মার্কিন প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন সিআইএয়ের পরিচালক উইলিয়াম বার্নস।

অন্যদিকে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোশাদ, শিন বেত এবং সামরিক বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত ইসরাইলের একটি প্রতিনিধিদল আজ বুধবার দোহায় ওয়ার্কিং-পর্যায়ের আলোচনায় যোগ দেবেন।

যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে, গাজা নিয়ে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলে তা ইরান এবং তাদের প্রক্সি হিবজুল্লাহর ইসরাইলে প্রতিশোধমূলক হামলা বন্ধ করবে। কারণ ওই হামলা হলে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে।

এদিকে ইরানের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি সোমবার তেহরানে সানিকে বলেছেন যে হামাসের রাজি হওয়া যেকোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে তারা সমর্থন করবেন।

এছাড়া ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান মঙ্গলবার ইঙ্গিত দিয়েছেন, পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে তার দেশ পাশ্চাত্যের সাথে নতুন করে আলোচনা শুরু করতে পারে।

গাজায় মানবিক কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে জাতিসঙ্ঘ
ইসরাইলের দেইর আল বালাহ এলাকায় লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার নতুন নির্দেশ জারির কারণে জাতিসঙ্ঘ গাজায় তাদের মানবিক কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে।
সোমবার জাতিসঙ্ঘের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ‘আজ আমরা কার্যক্রম চালাচ্ছি না। আজকের এই সকালে গাজায় আমাদের কার্যক্রম চলছে না।’
তিনি আরো বলেছেন, গাজায় জাতিসঙ্ঘের মানবিক কার্যক্রমে কখনও দেরি হয়েছে কিংবা বিরতি নেয়া হয়েছে।

জাতিসঙ্ঘের ওই কর্মকর্তা বলেন, কিন্তু এখন আমরা বলছি না যে কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে, আমরা কার্যক্রম চালাতে পারছি না।

সূত্র : জেরুসালেম পোস্ট ও এএফপি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ