চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় জিকে সেচ প্রকল্পের ইরিগেশন খালের পাড় ভেঙে গেছে। এতে চার গ্রামের কয়েক হাজার একর ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে।
প্রবল পানির স্রোতে ভেসে যাওয়া পাটের জাগ উদ্ধার করতে গিয়ে দাদা-নাতি গুরুতর আহত হয়েছেন। খালের প্রায় একইস্থানে গত তিন বছর আগে পাড় ভেঙে কয়েক গ্রামের ফসলি মাঠ ভেসে গেলেও কর্তৃপক্ষ নেয়নি টেকসই পদক্ষেপ। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, আলমডাঙ্গা উপজেলার কেদারনগর গ্রামের ভেতর দিয়ে বয়ে গেছে গঙ্গা কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের ইরিগেশন খাল (টি-৩ জি)। আট কপাট থেকে ওই খালের ৪টি স্লুইসগেট খুলে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার সকাল থেকে খাল কানায় কানায় পরিপূর্ণ হতে থাকে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে খাল টইটম্বুর হয়ে যায়। বিকেলে প্রচণ্ড পানির চাপে কেদারনগর গ্রামের ভেতর খালের এক পাড় ভেঙে যায়। প্রচণ্ড পানির তোড়ে প্রায় ৫০ ফিট পাড় ভেঙে চারটি মাঠের বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি মাঠ তলিয়ে গেছে।
উপজেলার বেলগাছি, পোয়ামারি, খেজুরতলা ও কেদারনগর গ্রামের মাঠের ধান তলিয়ে গেছে। পাটের জমি জলমগ্ন। ভেসে গেছে শত শত কৃষকের জমির বেড়ে ওঠা ধানক্ষেত। ভেসে গেছে পাটক্ষেত। জাগ দেওয়া পাট পানির প্রচণ্ড তোড়ে ভেসে গেছে।
ভেসে যাওয়া পাট উদ্ধার করতে গিয়ে পানির তোড়ে কেদারনগর গ্রামের আরোজ আলী ও তার নাতি জীবন মারাত্মক আহত হয়েছেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।
প্রায় একই স্থানে পর পর তিন বছর পাড় ভাঙছে। অথচ, কর্তৃপক্ষ টেকসই মেরামত করেনি। দায়সারা গোছের কাজ করে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ – এমন অভিযোগ তুলে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মেহেরাজ আলী বলেন, আমি রাত ৮টার দিকেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রবল স্রোতে পানি ঢুকছে। কাশিপুর, ডামোস ও কেদারগর গ্রামের কিছু বাড়িতে পানি ঢুকেছে। ফসলি জমিতেও পানি এসেছে। দ্রুত পাড় মেরামত না করা হলে সব থেকে বেশি ফসলের ক্ষতি হবে বলে ধারণা করছি।
আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) স্নিগ্ধা দাস বলেন, পানি উন্নয়ন বিভাগের সঙ্গে কথা বলেছি। পানির লাইন বন্ধ করা হয়েছে। পানি নেমে যাচ্ছে। মেরামতের কাজও শুরু হয়েছে বলে জেনেছি। আমি সকালে ঘটনাস্থলে যাব।