বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্রের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ের আগে পাঠ করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বের আগে বিশ্বের বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতিটি পাঠ করেন জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক।
এ সময় ডুজারিক বলেন, জাতিসংঘের ভারপ্রাপ্ত জরুরি ত্রাণ সমন্বয়কারী জয়েস এমসুয়া সংস্থার নিজস্ব কেন্দ্রীয় জরুরী সহায়তা তহবিল (সিইআরএফ) নামক মানবিক সহায়তা তহবিল থেকে বাংলাদেশের জন্য এ বরাদ্দ দিয়েছেন। গত মাসের শেষ থেকে বাংলাদেশে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৬০ লাখ মানুষকে সহায়তার জন্য এ অর্থ খরচ করা হবে।
ডুজারিক বলেন, বাংলাদেশে বন্যায় ৩ হাজার ৪০০টির বেশি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৫ লাখ মানুষ আশ্রয় নেওয়ার কথা জানা গেছে। বন্যার কারণে সাত হাজারের বেশি স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে প্রায় ১৭ লাখ স্কুলশিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার কারণে পশু ও মৎস্যসম্পদ খাতে ১৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার ক্ষতি হয়েছে।
ডুজারিক আরও বলেন, ‘আমাদের মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে সহযোগিতাকারীদের সঙ্গে নিয়ে আমরা তৎপরতা চালাচ্ছি এবং বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি কাজে সহযোগিতা করছি। আমরা এই বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ও সম্প্রদায়গুলোকে সাহায্যের জন্য স্থানীয়ভাবে যেসব প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে, তাতে সহযোগিতা করছি।’
এ বন্যাকে চলতি বছরে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন-সংশ্লিষ্ট চতুর্থ বড় দুর্যোগ বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমাল, উত্তর–পূর্বাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলে বন্যা এবং এবারের এ আকস্মিক বন্যার ঘটনায় গত মে মাসের শেষ থেকে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।