• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪১ অপরাহ্ন

মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র কয়লা সংকটে বন্ধের আশঙ্কা

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি ১২০০ মেগাওয়াটের দুই ইউনিটের এ কেন্দ্রটি পূর্ণাঙ্গ উৎপাদনে রয়েছে। তবে কেন্দ্রটিতে যে পরিমাণ কয়লা মজুত আছে, তা দিয়ে দেড় মাসের মতো চলবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎকেন্দ্র সংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে প্রকল্পটিতে নিরাপত্তা ঝুঁকিও বেড়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে যে কটি মেগা প্রকল্প নেওয়া হয়, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫১ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা। দুটি ইউনিটে মোট ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের মধ্যে ৬০০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট ২০২৩ সালের জুলাই মাসে উৎপাদনে এসেছে। বাকি ৬০০ মেগাওয়াটের ইউনিটটি গত ডিসেম্বরে চালু হয়। কেন্দ্রগুলো কমিশনিং করার জন্য জাপানের সুমিতমো করপোরেশনের মাধ্যমে আনা হয় ২২ লাখ ৫ হাজার টন কয়লা। চুক্তি অনুযায়ী জাপানি প্রতিষ্ঠানটি আগস্টের মাঝামাঝি কয়লার সর্বশেষ সরবরাহ দেয়।

প্রতিষ্ঠানটির সরবরাহ করা কয়লা থেকে বর্তমানে অবশিষ্ট আছে ২ লাখ ৮০ হাজার টন। এ দিয়ে উৎপাদন চালু রাখা যাবে আর এক থেকে দেড় মাস। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সুমিতমোর সরবরাহ করা কয়লা শেষ হওয়ার আগেই নিয়ম অনুযায়ী কয়লা কেনার কথা থাকলেও শীর্ষ কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে তা ক্রয় আটকে যায়।

সূত্র বলছে, তিন বছরের কয়লা সরবরাহের জন্য কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে। তবে প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ মেঘনা গ্রুপের ইউনিক সিমেন্ট কনসোর্টিয়ামকে সুবিধা দিতে ১০ মাস দেরি করেন। শেষ পর্যন্ত অনিয়মের অভিযোগ তুলে কনসোর্টিয়াম অব বসুন্ধরা, ইকুইন্টিয়া ও অথ্রোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট কয়লা আমদানিতে ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা দেন গত জুলাই মাসে। ফলে দীর্ঘ মেয়াদে কয়লা আমদানি অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে।

কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পরিচালন) মনোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, কয়লার সরবরাহ নিশ্চিত না করা গেলে দুই মাস পর উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে।

এদিকে, এই বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে তারসহ মূল্যবান যন্ত্রাংশ চুরির ঘটনা ঘটছে। গত ৩১ আগস্ট একটি বার্জে করে পাচার করার সময় চারটি কনটেইনার ভর্তি ১৫ কোটি টাকার বৈদ্যুতিক তার জব্দ করেছে নৌবাহিনী। এ ঘটনায় এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ও এমডি আবুল কালাম আজাদ এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় মামলা করা হয়েছে।

তার চুরির বিষয়ে সহকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা মিজানুল হাসান বলেন, কনটেইনারের মাধ্যমে কেব্‌ল নেওয়ার সময় গেট পাসের সঙ্গে কেবলগুলোর ইনভয়েস ছিল না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ