চলতি বছরের এপ্রিল, মে ও জুন মাসে টানা দুই বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। জুনে তা কমে ফের দুই বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যায়। জুলাই মাসে রেমিট্যান্সের গতি আরও কমে। তখন ১৯১ কোটি মার্কিন ডলারের নিচে নেমে আসে। যদিও এর পেছনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে প্রবাসীরা বৈধ পথে রেমিট্যান্স না পাঠানোর ঘোষণা দেয়।
তবে শেখ হাসিনা সরকারের পরিবর্তনের পরপরই বাড়তে থাকে রেমিট্যান্সের গতি। নতুন সরকারের শুরুতে আগস্টে ফের রেমিট্যান্সের পালে হাওয়া লাগে যার গতিতে দুই বিলিয়ন (২২২ কোটি ডলার) ডলার ছাড়িয়ে যায়।
সেই ধারাবাহিকতায় রেমিট্যান্সে নতুন রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে দেশ। চলতি মাস সেপ্টেম্বরে প্রতিদিন গড়ে ১১ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স আসে দেশে। গত বৃহস্পতিবার একদিনেই এসেছে প্রায় ১৩ কোটি (১২.৮০) ডলার। যা দেশের জন্য এক নতুন রেকর্ড গড়েছে।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয় চলতি মাসের প্রথম ৭ দিনে দেশে এসেছে ৫৮ কোটি ৪৫ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৫ কোটি ২৭ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। আর বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪১ কোটি ৫২ লাখ ৭০ হাজার ডলার আসে। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে আসে ১ কোটি ৪৮ লাখ ৩০ হাজার ডলার এবং বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
উল্লেখ্য, ছাত্রজনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর গত ৮ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের অনুরোধে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এর পরেই সব কিছুতে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। বাদ যায়নি অর্থনীতিতেও।