পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরাতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল বু্যরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)।
সোমবার সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে মানি লন্ডারিং ও গোয়েন্দা শাখার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এফবিআইয়ের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দলের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন।
এফবিআই প্রতিনিধি দল বৈঠক শেষে বের হওয়ার পর দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন সাংবাদিকদের বলেন, অর্থ পাচারের তদন্ত গতিশীল করতে এফবিআই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
দুদক কীভাবে কাজ করে সেসব বিষয়েও তাদের বিস্তারিত জানানো হয়েছে। বৈঠকে তাদের জানানো হয়, বাংলাদেশে থেকে যেসব দেশে অর্থ পাচার হয় তার অন্যতম যুক্তরাষ্ট্র। পাচারের অর্থ ফেরাতে এফবিআইয়ের কাছে আইনি সহযোগিতা চাওয়া হয়। এফবিআই কর্মকর্তাও সহায়তার আশ্বাস দেন।
সূত্র জানায়, এফবিআইয়ের আইন বিষয়ক সহকারী অ্যাটাশে রবার্ট যে ক্যামেরুন ও ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম দুপুর ১২টার দিকে দুদকে যান। তারা সংস্থাটির মানি লন্ডারিং শাখার মহাপরিচালক মোকাম্মেল হক ও গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক গোলাম শাহরিয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেন। দুপুর ২টা পর্যন্ত চলা বৈঠকে রবার্ট যে ক্যামেরুন দুদকের সার্বিক কাজের খোঁজখবর নেন।
এ সময় তিনি মানি লন্ডারিং শাখার কাজের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চান। একপর্যায়ে মানি লল্ডারিং শাখার মহাপরিচালক তাকে বিস্তারিত কাজ সম্পর্কে অবহিত করেন। একই সঙ্গে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাচার হওয়া বিপুল অর্থ ফেরাতে এফবিআইয়ের সহযোগিতা চান। এফবিআই কর্মকর্তা তাদের দেশের আইনের মধ্য থেকে পাচারের অর্থ ফেরাতে দুদকের কাজে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
দুদকের গোয়েন্দা শাখার কাছে তথ্য রয়েছে, গত ১৫ বছরে দেশ থেকে পাচার হয়েছে ১৮ লাখ কোটি টাকা। এদিকে ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান জিএফআই’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর পাচার হয় ৭৫৩ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৮০ হাজার কোটি টাকা। নানা সূত্র থেকে এই অর্থ পাচারের তথ্য দুদকের কাছে এলেও পাচারকারীরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায়।