জয়পুরহাটে তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। জেলার পাঁচবিবি উপজেলার ভূতগাড়ীসহ কয়েকটি এলাকায় জনপ্রিয় হচ্ছে মালচিং পদ্ধতিতে বারোমাসি তরমুজ চাষ। পরিবেশবান্ধব এ পদ্ধতি ব্যবহার করে বিভিন্ন রঙের তরমুজ চাষ করে সফল হয়েছেন কৃষকেরা।
বছরে তিনবার বিভিন্ন রঙের তরমুজ চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন তারা। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ও রসালো হওয়ায় চাহিদাও বেশি। ফলে দিন দিন বেড়েই চলেছে মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ। এই তরমুজ চাষ করে বিক্রির জন্য কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না। মাঠ থেকে রাস্তায় তুললেই বিক্রি হয়। প্রতিদিন তরমুজের হাট বসে এই রাস্তায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ পদ্ধতিতে শীতকালের তিন মাস বাদে ৯ মাস তরমুজ উৎপাদন সম্ভব। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় অন্য ফসল বাদ দিয়ে তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন কৃষকেরা। বিঘাপ্রতি ৬০-৬৫ হাজার টাকা খরচ করে বিক্রি হয় ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা। এতে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হচ্ছে।
জয়পুরহাটে প্রথম বারোমাসি তরমুজ চাষ শুরু করেছিলেন পাঁচবিবি উপজেলার ভাড়াহুত গ্রামের কৃষক আবু মুসা। ২০১৮ সালে সর্বপ্রথম মাত্র আড়াই শতক জমিতে মাচায় ব্ল্যাকবেবি ও মধুমালা তরমুজ চাষ শুরু করেন। যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৩০০ বিঘায়।
সরেজমিনে জানা গেছে, বাঁশের তৈরি মাচার ওপর ঝুলছে গোল্ডেন ক্রাউন ও ব্ল্যাকবেবি জাতের তরমুজ। বীজতলা বা ক্ষেত থেকে সার ধুয়ে যায়। মালচিং পেপার দিয়ে মোড়ানো থাকায় এখানে সেই আশঙ্কাও নেই। সাধারণ পদ্ধতির চেয়ে এ পদ্ধতিতে গাছগুলো দেড়গুণ তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে। গাছ থেকে যেন ফলগুলো ছিঁড়ে না পড়ে এজন্য ব্যবহার করা হয়েছে নেট ব্যাগ।