অবসরের বয়স ধীরে ধীরে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন। দেশটির শীর্ষ আইনি সংস্থা শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়। ক্রমহ্রাসমান জন্মহার ও বয়োজ্যেষ্ঠ জনগোষ্ঠীরর সংখ্যা বাড়ার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনে ব্লু-কলার চাকরিতে নারীদের জন্য বিধিবদ্ধ অবসরের বয়স ৫০ থেকে ৫৫ ও হোয়াইট-কলার চাকরিতে নারীদের জন্য ৫৫ থেকে ৫৮ তে উন্নীত করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
খবরে আরও বলা হয়েছে, পুরুষদের অবসরের বয়স ৬০ থেকে ৬৩ পর্যন্ত বাড়তে পারে। চীনের বর্তমান অবসরের বয়স বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম।
সাধারণত বাইরের পরিবেশে করতে হয় এমন কায়িক শ্রমের কাজ, যেমন- বর্জ্য সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা, পুনর্ব্যবহার, নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ, শিপিং, ড্রাইভিং, ট্রাকিং ইত্যাদি ব্লু–কলার চাকরি হিসেবে পরিচিত। বিপরীতে অফিসের কাজ বা কম্পিউটার ডেস্কে বসার সুযোগ থাকে যেসব কাজে, সেগুলোকে হোয়াইট-কলার কাজ করে।
চীনা রাষ্ট্রায়ত্ব গণমাধ্যম সিনহুয়ার বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, অবসরের বয়স বাড়ানোর এই প্রক্রিয়া ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে। পরবর্তী ১৫ বছরে প্রতি কয়েক মাস পরপর উত্থাপিত অবসরের বয়স বাড়ানো হবে।
সিনহুয়া জানিয়েছে, বিধিবদ্ধ বয়সের আগে অবসর নেওয়ার অনুমতি দেওয়া দেবে না চীন। ২০৩০ সাল থেকে পেনশন পাওয়ার জন্য সরকারি কর্মচারীদের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আরও অবদান রাখতে হবে। ২০৩৯ সালের মধ্যে তাদের পেনশন পেতে হলে ২০ বছরের অবদান রাখতে হবে।
সিনহুয়া জানিয়েছে, অবসরের বয়স বাড়ানোর ও পেনশন নীতির সমন্বয় করার পরিকল্পনাটি ‘গড় আয়ু, স্বাস্থ্যের অবস্থা, জনসংখ্যার কাঠামো, শিক্ষার স্তর ও চীনে কর্মশক্তি সরবরাহের একটি ব্যাপক মূল্যায়নের উপর ভিত্তি করে’ করা হয়েছে। তবে, ঘোষণাটি চীনা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে সংশয় ও অসন্তোষ তৈরি করেছে।
সূত্র: বিবিসি