দুর্নীতির অভিযোগে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো ছোটো ছেলে কায়েসাং পাঙরেপকে (২৯) জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন দেশটির দুর্নীতি দমন সংস্থার কর্মকর্তারা। সে জন্য আজ মঙ্গলবার জাকার্তায় দেশটির দুর্নীতি দমন সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে হাজিরা দিতে হয়েছে তাকে।
সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের অবশ্য কায়েসাং বলেছেন, তাকে তলব করা হয়নি; বরং দুর্নীতি দমন সংস্থার পক্ষ থেকে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করতেই তিনি এসেছেন। দুর্নীতির যে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে উঠেছে, তা ও সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেছেন কায়েসাং।
প্রসঙ্গত, কায়েসাং পাঙরেপ বরাবরই তার বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য পরিচিত। সম্প্রতি তিনি একটি ব্যক্তিগত বিমানে চেপে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। সেই ভ্রমণের ভিডিও কয়েক দিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন তার স্ত্রী এরিনা গুদোনো।
এরিনার সেই পোস্টের পরই ব্যাপক প্রতিক্রিয়া শুরু হয় ইন্দোনেশিয়ার নেটিজেনদের মধ্যে। তাদের অভিযোগ— দুর্নীতির অর্থে ব্যক্তিগত এই উড়োজাহাজ কিনেছেন কায়েসাং।
তবে মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন সংস্থার কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “যে উড়োজাহাজ নিয়ে কথা উঠেছে—সেটি আমার নয়, আমার এক বন্ধুর। আর একটি কথা হলো— আমাকে কিন্তু তলব করা হয়নি। দুর্নীতি দমন সংস্থার কর্মকর্তারা আমাকে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তা রক্ষা করার জন্যেই আমি এসেছি।
তবে ইন্দোনেশিয়ার দুর্নীতি দমন সংস্থার উপ প্রধান পাহালা নাইঙগোলান রয়টার্সকে জানান, জোকো উইদাদোর ছোটো ছেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কিছু অভিযোগ রয়েছে এবং সেসব সত্য কী না— যাচাই করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে তার ফলাফল পাওয়া যাবে। তারপর পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে সংস্থা।
নিজের সাংবিধানিক মেয়াদ পূর্ণ করে আগামী মাসে অবসরে যাচ্ছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদাদো। নিজ দেশে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা উইদাদোর বিরুদ্ধে অভিযোগ— কৌশলে তিনি জাতীয় রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র চালু করেছেন।
গত জুলাই মাসে শেষ হওয়া নির্বাচনে জয়ী হয়ে দেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছেন উইদাদোর বড় ছেলে গিবরান রাকাবুমিঙ রাকা (৩৬)। ছোটো ছেলেকেও রাজনীতিতে আনার পরিকল্পনা রয়েছে তার।