জাপানে রেকর্ড বৃষ্টিপাতের পর সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১০ জন। সম্প্রতি দেশটির ইশিকাওয়া অঞ্চলে দেখা দিয়েছে এই বিপর্যয়।
বিবিসি জানিয়েছে, বন্যা-ভূমিধসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওয়াজিমা এবং সুজু শহর। সেখানে গত শনিবার থেকে শুরু করে স্থানীয় সময় সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে ভারী বৃষ্টিপাত। স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, রোববার উভয় শহরেই গড়ে বছরে সেপ্টেম্বরে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়, তার দ্বিগুণ বৃষ্টি হয়েছে।
খবরে আরও বলা হয়েছে, কয়েক ডজন নদীর পানি উপচে পড়ছে, বেশ কয়েকটি রাস্তা ধসে গেছে এবং অঞ্চলজুড়ে ১০০টিরও বেশি সম্প্রদায় যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
নিহতদের মধ্যে দুজনকে ওয়াজিমায় একটি ভূমিধস-বিধ্বস্ত সুড়ঙ্গের কাছে পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন নির্মাণ শ্রমিক, যিনি রাস্তা মেরামত করতে গিয়েছিলেন।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জাপান টাইমস জানিয়েছে, অন্যান্য নিহতদের মধ্যে দুজন বয়স্ক পুরুষ এবং একজন বয়স্ক নারী রয়েছেন।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা গত শনিবার ইশিকাওয়া অঞ্চলের জন্য ‘প্রাণ সংশয়ের’ সতর্কতা জারি করে, যা তাদের সর্বোচ্চ সতর্কতার মাত্রা। যদিও রোববার এটিকে নিয়মিত সতর্কতায় নামিয়ে আনা হয়। তবে সোমবার দুপুর পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনার কারণে কর্তৃপক্ষ সবাইকে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছে।
অঞ্চলটিতে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে ঘরবাড়ি হারানো লোকদের জন্য নির্মিত অস্থায়ী আবাসন বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এনএইচকে’র ফুটেজে দেখা গেছে, ওয়াজিমার পুরো রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে।
অঞ্চলটি এখনো বছরের শুরুর দিকে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের ক্ষতি পূরণ করতে পারেনি। তার মধ্যেই বন্যা-ভূমিধস এলাকাবাসীর দুর্দশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
গত জানুয়ারিতে আঘাত হানা ওই ভূমিকম্পে কমপক্ষে ২৩৬ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন।