যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রোববার যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠকে তিনি জানান, গাজায় শান্তি এবং স্থিতিশীল পরিস্থিতি ফেরাতে ভারত সব সময় পাশে আছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আব্বাসের সঙ্গে বৈঠকের কথা জানিয়ে মোদি লেখেন, ফিলিস্তিনের জনগণের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বকে আরও জোরদার করার বিষয়ে কথা হয়েছে সেদেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে।
বর্তমানে মোদি নিউইয়র্কে রয়েছেন। কোয়াড বৈঠকে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন তিনি। বৈঠকের পর একাধিক রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে তার।
গত বছর গাজা ভূখণ্ডে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব জাতিসংঘে আনা হয়েছিল, তার পক্ষে ১২০টি সদস্য রাষ্ট্র ভোট দিলেও, ভোটদানে বিরত ছিল মোদি সরকার।
হামাসের সন্ত্রাসবাদের কড়া নিন্দা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়, কারণ তারা ভুক্তভোগী। গত সপ্তাহেও জাতিসংঘের ইসরাইলের দখলদারির বিরুদ্ধে প্রস্তাব নেওয়া হলে ভারত তাতে ভোট দেয়নি। কিন্তু পাশাপাশি নয়াদিল্লি ক্রমশ ‘একপেশে’ অবস্থান থেকে সরে গিয়ে সূক্ষ্মভাবে ইসরাইল-ফিলিস্তিনি প্রশ্নে ভারসাম্যের পথে আসছে, এমনটাই মনে করছে কূটনৈতিক শিবির।
জাতিসংঘে গত বছরের ভোটাভুটির পর জেনেভা পরিষদে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি অরিন্দম বাগচী বলেছিলেন, ‘ভারত ফিলিস্তিনির মানুষকে সহায়তা করবে দ্বিপাক্ষিক উন্নয়নমূলক অংশীদারির মাধ্যমে। সেই সঙ্গে মানবিক সমর্থনও চালিয়ে যাবে।’
একই সঙ্গে পুরনো অবস্থানের প্রতিধ্বনি করে তিনি বলেছিলেন, ফিলিস্তিনি-সংকটে দ্বিরাষ্ট্রিক সমাধানকে ভারত সমর্থন করে। আর কোনো উপায় নেই। এই সমাধানের পথে যা যা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে এখনই তার মোকাবিলা করা প্রয়োজন। নয়তো জট ছাড়বে না। আব্বাসের সঙ্গে বৈঠকে মোদি এ মানবিক সমর্থনের দিকটিই তুলে ধরলেন বলে মনে করা হচ্ছে।