কেটে গেছে বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপ। ফলে কমে এসেছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। এতে করে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে। অপরদিকে এরই মধ্যে সব সমুদ্র বন্দরের সতর্ক সংকেতও নামিয়ে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেনের সই করা আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা সম্বন্ধে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ মধ্য প্রদেশ, উড়িষ্যা, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
অপরদিকে আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায়, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-একটি জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে এমন ইঙ্গিতও দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
অপরদিকে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায়। এছাড়া ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-একটি জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। ওইদিনও সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
রোববারও (২৯ সেপ্টেম্বর) সারাদেশে দিন-রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। একইসঙ্গে ওইদিন ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। তবে এই সময়ের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।
অপরদিকে, আজ (শুক্রবার) সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম, সীতাকুণ্ড ও কুতুবদিয়ায়। যার পরিমাণ ৩৩ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রংপুর বিভাগের তেতুলিয়ায় ২৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতও হয়েছে রংপুর বিভাগের দিনাজপুর জেলায়। যার পরিমাণ ১৯৭ মিলিমিটার।