• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন

শিমুল বিশ্বাসের রিমান্ড শুনানি ৮ মার্চ

আপডেটঃ : রবিবার, ৪ মার্চ, ২০১৮

রাজধানীর গুলশান ও বংশাল থানার দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের রিমান্ড শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ৮ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত।
রবিবার মামলা দুটি রিমান্ড শুনানির জন্য ধার্য ছিল। এজন্য শিমুল বিশ্বাসকে নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। শিমুল বিশ্বাসকে রিমান্ডে না নেওয়ার বিষয়ে হাইকোর্টে রিট বিচারাধীন থাকায় শুনানি পেছানোর আবেদন করেন তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবা। শুনানি শেষে গুলশান থানার মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম এবং বংশাল থানার মামলায় আরেক মহানগর হাকিম রায়হানুল ইসলাম রিমান্ড শুনানির তারিখ ৮ মার্চ ঠিক করে দেন।
এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি গুলশান থানার মামলায় ১০ দিন ও বংশাল থানার মামলায় ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। ওই দিন আদালত রিমান্ড শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।
প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার পর বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত প্রাঙ্গন থেকে তাকে আটক করা হয়।
৯ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় দায়ের করা নাশকতার একটি মামলায় ৫ দিনের ও ১৫ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানার আরেক মামলায় শিমুল বিশ্বাসের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর রমনা থানায় দায়ের করা নাশকতার আরেক মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড দেন আদালত। তিন মামলায় ১৫ দিন রিমান্ড শেষে ২৬ ফেব্রুয়ারি আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে শিমুল বিশ্বাসকে রিমান্ডে না নিয়ে জেল গেটে জিজ্ঞাসা করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে বৃহস্পতিবার রুল জারি করে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া যাবে না বলে আদেশ দেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি), ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত (সিএমএম), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার, গুলশান ও বংশাল থানার ওসিকে (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এক রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মো. মাসুদ রানা। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ