তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি॥
রাজশাহীর তানোরে মেসার্স রহমান হিমাগারের দূষণ সন্ত্রাসে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। রহমান হিমাগারের পচাঁ ও দুর্গন্ধযুক্ত আলু রাস্তার পাশের ডোবায় ফেলা হচ্ছে। ফলে এসব পচাঁ আলুর দুর্গন্ধে এলাকার পরিবেশ দূষিত, জনজীবন অতিষ্ঠ ও মারাতœক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তানোর-মুণ্ডুমালা রাস্তার দেবিপুর মোড়ে কৃষি জমির শ্রেণী পরিবর্তন না করেই মেসার্স রহমান হিমাগার নির্মাণ করা হয়েছে। এদিকে হিমাগারের পচাঁ ও দুর্গন্ধযুক্ত আলু ফেলা হচ্ছে রাস্তার দু’পাশের জলাধারে। ফলে রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে জনসাধারণকে চরম দুর্গোভ পোহাতে হচ্ছে। এঝাড়াও জলাধার সংলগ্ন যোগীশো সাঁওতাল পল্লীর বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়েছে দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগের প্রকপ। সাঁওতাল পল্লীর বাসিন্দা আগনে হাসদা (৫৫) ও মাটিনা সরেন (৪৪) বলেন, পচাঁ আলু ফেলায় জলাধারের পানি পান করে অনেক ছাড়ল-ভেঁড়া অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তারা বার বার বলার পরেও হিমাগারের লোকজন তাদের কথা শুনছেন না। তারা আরো বলেন, জলাধারে পচাঁ আলু ফেলার কারনে পুরো এলাকাজুড়ে প্রচন্ড দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। তারা ভাত খেতে বসলেও পচা আলুর দুর্গন্ধ নাক মুখ দিয়ে দেহের মধ্যে যাচ্ছে আবার রাতে বাতাসে দুর্গন্ধের পরিমাণ এতই বেশি ঘুমিয়ে থাকা যাচ্ছে না ।
এব্যাপারে রহমান হিমাগার ম্যানেজার নুরুল জানান যে সব পচাঁ আলু ফেলা হয়েছে তা তো তুলে নিয়ে আসা যাবে না । কিন্তু আর ফেলা হবে না। তিনি বলেন, এলাকার মানুষের অনুরোধে এসব পচাঁ আলু ফেলে জলাধার ভরাট করা হচ্ছিল। এব্যাপারে রহমান হিমাগারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমান বলেন, যেখানে পচাঁ আলু ফেলা হচ্ছে সে সব এলাকায় কোন জনসাধারনের বসবাস নাই তারপরেও বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে দেখা হচ্ছে। এ নিয়ে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাঃ শওকাত আলী বলেন, এসব ঘটনায় লিখিত অভিযোগ ফেলে ভালো হয় তার পরেও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে বলে তিনি জানান। এব্যাপারে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (টিএইচও) রোজী আরা বলেন, পচাঁ আলুর দুর্গন্ধ অবশ্যই মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। #