ইলিশ মাছের যে কোনো পদই স্বাদে অনন্য। তবে ইলিশ দিয়ে যদি বিশেষ কোনো পদ রাঁধতে চান তাহলে সেরা বিকল্প হতে পারে ইলিশের বিরিয়ানি। একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছে করবে এই পদ।
আর বিরিয়ানি খেতে কে না পছন্দ করেন না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়াও মুশকিল। সবসময় তো মুরগি বা গরু-খাসির মাংস দিয়েই বিরিয়ানি রান্না করে খান। এবার না হয় তৈরি করুন ইলিশ বিরিয়ানি।
ঘরোয়া আয়োজন থেকে শুরু করে অতিথি আপ্যায়নে ছুটির দিনের সেরা রেসিপি হতে পারে এই বিরিয়ানি। রইলো ইলিশ বিরিয়ানির রেসিপি-
উপকরণ
১. পোলাওয়ের চাল ৪০০ গ্রাম
২. ইলিশ মাছ ৬ টুকরা
৩. পানি ঝারানো টক-মিষ্টি দই আধা কাপ
৪. আদা বাটা আধা চা চামচ
৫. মরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ
৬. পেঁয়াজ বাটা ১ টেবিল চামচ
৭. বিরিয়ানির মসলা ১ টেবিল চামচ
৮. আস্ত এলাচ ৪টি
৯. দারুচিনি ৩ টুকরা
১০. তেজপাতা ২টি
১১. লবঙ্গ ৩টি
১২. লবণ স্বাদমতো
১৩. তেল বা ঘি ১ কাপ
১৪. কাঁচা মরিচ ৪/৫টি
১৫. আলু বোখারা ৪টি
১৬. লেবুর রস ১ টেবিল চামচ ও
১৭. কিশমিশ ১ টেবিল চামচ।
পদ্ধতি
প্রথমে চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এরপর ফুটন্ত গরম পানিতে লবণ দিয়ে চাল আধা সেদ্ধ করে নিন। তারপর ভাতের মাড় ঝরিয়ে আলাদা পাত্রে রাখুন।
এদিকে মাঝারি আকারের টুকরা করে মাছ কেটে পরিষ্কার করে নিন। এরপর পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। এবার অর্ধেক তেল ও ঘিয়ের সঙ্গে সব উপকরণ মিশিয়ে নিন মাছের সঙ্গে।
অন্তত ১০ মিনিট মেরিনেট করে রাখুন মাছগুলো। একটি প্যানে ম্যারিনেট করা মাছ অল্প আঁচে ১০ মিনিট কষিয়ে নিতে হবে।
একটি পাতিলের মধ্যে পোলাও চালের ভাত দিয়ে তার উপরে সাজিয়ে দিন মাছগুলো। উপরে আলু বোখারা ও কাঁচা মরিচ দিয়ে দিন। ভাতের উপর আরও ছড়িয়ে দিন কিশমিশ, বাকি তেল ও ঘি।
সবশেষে আলাদা করে রাখা ভাতের মাড় উপরে ঢেলে দিন। খেয়াল রাখতে হবে যেন মাড় ভাতের নিচে থাকে। অন্যদিকে সামান্য আটা মেখে পাতিলের ঢাকনা ভালোভাবে বন্ধ করে দিন।
চুলার আঁচ বাড়িয়ে ৫ মিনিট রান্না করতে হবে। এরপর চুলায় তাওয়া বসিয়ে মুখবন্ধ হাঁড়িটি তাওয়ার উপর কম আঁচে আরও আধা ঘণ্টা দমে বসিয়ে রান্না করুন। রান্না হয়ে গেলে বড় পাত্রে পরিবেশন করুন ইলিশ বিরিয়ানি।