• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০২ অপরাহ্ন

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির কারাগারে

আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৮

সিলেটের জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত বুধবারের জনসভা থেকে ফেরার পথে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরকে আটক করা হয়। এরপর বৃহষ্পতিবার দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সিলেট কোতোয়ালি থানার দায়েরকৃত নাশকতা ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে একটি মামলায় তাকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এর আগে বৃহষ্পতিবার দুপুর ২টা ২০মিনিটে মহানগর পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী আদালত প্রাঙ্গণে ভিড় করেন এবং খন্দকার মুক্তাদিরের মুক্তি দাবি করেন।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গত ১৫ অক্টোবর স্বেচ্ছাসেবক দলের একটি মিছিল হতে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে এ মামলা করে পুলিশ। কোতোয়ালি থানার মামলা নং-১৭। এতে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে খন্দকার মুক্তাদিরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সিলেট কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সেলিম মিয়া জানান, নাশকতা ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে আটক খন্দকার মুক্তাদিরসহ ৪ জনকে বৃহষ্পতিবার দুপুরে আদালতে হাজির করলে আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এর আগে গত বুধবার সিলেটে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে যোগ দিয়ে ফেরার পথে তাকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। পরে রাতেই তাকে কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হলে বৃহষ্পতিবার তাকে সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
মুক্তি দাবি মির্জা ফখরুলের
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরসহ আটক দলের নেতা-কর্মীর মুক্তি দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার সন্ধ্যায় সিলেটে সমাবেশ করে ঢাকায় ফেরার পথে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে তাৎক্ষানিক সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ মুক্তি দাবি করেন।
এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, সিলেটে জনসভার ২৪ ঘন্টার কিছু সময় আগে তাদের সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। সমাবেশের আগে সারাদেশে যেভাবে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে- সেভাবে সিলেটেও নেতাদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশী চালানো হয়েছে। চাপের মুখেও সিলেটে সফল জনসভা হয়েছে।
তিনি বলেন, সিলেটে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ হওয়ার পর চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মুক্তাদিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একইসঙ্গে আরো বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কয়েকজন নেতার বাসায় তল্লাশী চালানো হয়েছে। যা অনভিপ্রেত। সরকারবিরোধী দলকে কোন জায়গাই দিতে চাচ্ছে না এই মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন,
দমন পীড়ন নিপীড়ন করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনেক দাবিয়ে কিংবা দমিয়ে রাখা যায় না।
তিনি বলেন, জনগণের দাবি অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ এবং সংসদ বাতিল করে দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করে নির্বাচনে ব্যবস্থা করতে হবে। এটা না হলে এ সংকটের সমাধান হবে না। বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক মুক্তি হবে না।
তিনি বলেন, নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি সারাদেশে অসংখ্য নেতা-কর্মীর জামিন বাতিল করা হচ্ছে। জামিন বাতিল করে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বুধবার কুমিল্লায় মনিরুল হক চৌধুরী এবং চট্টগ্রামে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, সারাদেশে বিরোধী দলের যেভাবে দমন-পীড়ন চলছে-এটা গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়। এ থেকে বিরত থাকতে আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান ও বরকত উল্যাহ বুলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ