রংপুর অফিস॥
খাদ্য বিভাগের এক কর্মকর্তার বদলীকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহতি ও ব্যানার ছেঁড়ার ঘটনায় সোমবার বিকেল থেকে জেলা খাদ্য বিভাগে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে রংপুর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রককে স্মারকলিপি দিয়েছে রংপুর বিভাগ খাদ্য পরিদর্শক সমিতি। এঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে রংপুর আঞ্চলিক খাদ্য কর্মকর্তা।
প্রত্যক্ষদর্শী রংপুর সদর চাউল কল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মামসুল আলম বাবু গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান, রংপুর বিভাগীয় খাদ্য পরিদর্শক সমিতির আবুল কালম আজাদ ও দেলোয়ার হোসেন গ্রুপের নেতাকর্মীরা রংপুর খাদ্য বিভাগের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের জন্য সেখানে একটি ব্যানার টাংগাচ্ছিল। এসময় আব্দুর রহমান ও উত্তম কুমার গ্রুপের নেতাকর্মীরা ব্যানারটি খুলে ফেলে। এনিয়ে সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাটি ঘটে। পরে এঘটনার প্রতিবাদে আব্দুর রহমান ও উত্তম কুমার গ্রুপের নেতাকর্মীরা সন্ধ্যায় একই স্থানে ব্যানার টাংগিয়ে সমাবেশের ঘোষনা দেয়। এসসময় কেবা কারা ওই ব্যানারটি ছিঁড়ে নিয়ে চলে যায়। রাতে রংপুর বিভাগীয় খাদ্য পরিদর্শক সমিতির পক্ষ থেকে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
রংপুর আঞ্চলিক খাদ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চগড় জেলা খাদ্য বিভাগের উপ-পরিদর্শক নবাব সলিমুল্ল্যাহ ও ঠাকুরগাঁওয়ের উপ-পরিদর্শক আসাদুজ্জামানকে পদোন্নতি দিয়ে রংপুর জেলা খাদ্য অফিসে এবং ওবায়দুর রহমান চিলাহাটি খাদ্য গুদামে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করে। এনিয়ে আব্দুর রহমান ও উত্তম কুমার গ্রুপ সমর্থিত রংপুর বিভাগীয় খাদ্য পরিদর্শক সমিতির নেতৃবৃন্দ তাদের লোকজনকে ভাল জায়গায় বদলীর দাবিতে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রককে চাপ প্রয়োগ করে। বিষয়টি আবুল কালম আজাদ ও দেলোয়ার হোসেন গ্রুপের সমর্থকরা ভালভাবে নেননি। তারা তাদের উপর হামলা , ব্যানার ছেড়া ও আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রককে চাপ প্রয়োগের জন্য রংপুর বিভাগীয় খাদ্য পরিদর্শক সমিতির সভাপতি মাহমুদ হাসানের সমর্থক কাউনিয়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ও পীরগাছা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফ ইমনকে দায়ী করেন।
রংপুর খাদ্য বিভাগে পরিদর্শক পদে যোগদান করা আসাদুজ্জামান জানান, রংপুর বিভাগীয় খাদ্য পরিদর্শক সমিতির সদস্যরাই তাদের ব্যানার ছিঁড়ে অন্যের উপর দোষ চাপাচ্ছেন। রংপুর বিভাগীয় খাদ্য পরিদর্শক সমিতির সভাপতি মাহমুদ হাসান জানান, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে রংপুর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
রংপুর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্র রায়হানুল কবীর মঙ্গলবার খাদ্য পরিদর্শক সমিতির স্মারকলিপি পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার সময় তিনি রংপুরে ছিলেননা। খবর পেয়ে রাতে রংপুর অফিসে এসেছি। তিনি এ ঘটনার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান।