• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১১:৫১ অপরাহ্ন

রাজশাহী-১ আসনের উন্নয়নে আমিনুলের বিকল্প নাই

আপডেটঃ : শনিবার, ৯ জুন, ২০১৮

রাজশাহী (তানোর) প্রতিনিধি॥
রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) বরেন্দ্র অঞ্চলের পশ্চাদপদ ও অবহেলিত এলাকা নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসনের নির্বাচনী এলাকায় গ্রামীণ অবকাঠামো, সেতু-কালভ্রাট, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা-স্বাস্থ্য, সড়ক যোগাযোগ ইত্যাদি উন্নয়নের মাধ্যমে ব্যারিস্টার আমিনুল এই সংসদীয় আসনকে ভিআইপি আসনের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন এছাড়াও এলাকার সার্বিক উন্নয়নে (সাবেক) ডাকমন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের কোনো বিকল্প নাই। তিনি নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়ে অনেক অপ্রত্যাশিত উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করেছিলেন এবং অনেক কাজ চলমান ছিল। এঝাড়াও প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন নির্বাচনী এলাকায় আধূনিক সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে যোগাযোগ বান্ধব এলাকায় পরিণত করেছেন। আবার পশ্চাতপদ (পিছিয়ে পড়া) এই জনপদের সাধারণ মানুষের মধ্যে সহজে শিক্ষা বিস্তারের উদেেেশ্য অসংখ্য স্কুল-কলেজ-মাদরাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিক্ষাবান্ধব এলাকায় রুপান্তরিত করেছেন। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় একদিকে শিক্ষিত বেকার জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, অন্যদিকে কৃষি প্রধান এই এলাকার সাধারণ মানুষের সহজে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এসব বিবেচনায় দলমত নির্বিশেষে এই অঞ্চলের প্রায় প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে গেঁথে রয়েছে ব্যারিষ্টার আমিনুল হকের নাম ও তার সূখ স্মৃতি। এলাকার উন্নয়নে প্রয়াত শীষ মোহাম্মদ ও ব্যারিস্টার আমিনুল হক ছিলেন অনুকরনীয় তাদের হাত ধরেই এই এলাকার উন্নয়নের সূত্রপাত হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের প্রায় ১০ বছরের উন্নয়ন কর্মকান্ডের বিপরীতে ব্যারিস্টার সময়ের উন্নয়নের বিশ্লেষণ বা তুলনা করতে  গিয়ে দীর্ঘদিন পরে হলেও এই অঞ্চলের মানুষ ব্যারিস্টার আমিনুল হকের প্রয়োজন অনুভব করেছেন। স্থানীয়রা বলছে, আওয়ামী লীগ সরকারের প্রায় ১০ বছরে ব্যারিস্টারের সময়ে নির্মাণ করা পাকা রাস্তাগুলোর উন্নয়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে, তবে ব্যারিস্টারের সময়ে গড়ে উঠা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগ বাণিজ্য করতে তারা পুরোপুরি শতভাগ সফল হয়েছে। এসব বিবেচনায় প্রতিনিয়ত তার প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থন বাড়ছে সৃষ্টি হয়েছে গণজোয়ার।
এদিকে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) সংসদীয় আসনে আবারো বিএনপির প্রার্থী হচ্ছেন সাবেক ডাকমন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক এটা প্রায় নিশ্চিত এমন খবর নির্বাচনী এলাকার প্রায় প্রতিটি মানুষের মূখে মূখে প্রচার হচ্ছে। অপরদিকে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ও প্রতিকুলতা অতিক্রম করে তার প্রার্থী হবার খবর সাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে বিএনপির রাজনীতিতে ফের প্রাণচাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে। আবার বিএনপির নেতাকর্মী ও সাধারণের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। তৃণমূলের নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ব্যারিস্টার আমিনুলের প্রার্থী হবার খবরে বিএনপিবিরোধী শিবিরে রীতিমতো দেখা দিয়েছে চন্দ্র গ্রহণ চেহারায় ফুটে উঠেছে রাজ্যর হতাশা। বিএনপিবিরোধী সংগঠনের অধিকাংশ নেতা ও তাদের অনুগত কর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে অমবশ্যার অন্ধকার। ব্যারিস্টার আমিনুল হক আগামি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না বলে তাদের মনে দীর্ঘদিন ধরে যে স্বপ্ন লালিত হয়ে আসছে তার প্রার্থীতার খবরে তাদের সেই স্বপ্ন উবে গেছে হয়েছে রণেভঙ্গ। কারণ হিসেবে তারা বলছে, বিএনপিবিরোধী সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রায় নিশ্চিত ছিল আইনি জটিলতার কারণে ব্যারিস্টার আমিনুল হক প্রার্থী হতে পারবেন না। সম্পতি ব্যারিস্টার আমিনুলের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে তিনি আগামি সংসদ নির্বাচনে এই আসনে বিএনপির প্রার্থী হচ্ছেন। রাজশাহীর রাজনৈতিক অঙ্গনে বিএনপির ব্যারিস্টার আমিনুল হক ও আওয়ামী লীগের গোলাম রাব্বানি সাধারণের মানুষের মধ্যে এখানো জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। রাজশাহী অঞ্চলে সাধারণ মানুষ এখানো তাদেরকে উন্নয়নের প্রতিক হিসেবে বিবেচনা করে সাধারণ মানুষের মধ্যে এখানো তারা সমান জনপ্রিয় ও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন। আওয়ামী লীগের গোলাম রাব্বানি ও বিএনপির ব্যারিস্টার আমিনুল প্রার্থী হলে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। এদিকে নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জৈষ্ঠ নেতা বলেন, তাদের ভাবনা বিএনপিকে নিয়ে নয়, তাদের ভাবনা ব্যক্তি ব্যারিস্টার আমিনুলকে নিয়ে। তারা বলেন, ব্যারিস্টার আমিনুল প্রার্থী হলে তাকে পরাজিত করে বিজয়ী হওয়া যেকোনো রাজনৈতিক দলের কাছে আকাশ-কুসুম কল্পনা ছাড়া আর কিছু নয় এটা অপিয় হলেও সত্য। তবে রাজনৈতিক সচেতন প্রবীণ ব্যক্তিরা বলেন, বারিস্টার আমিনুলের সঙ্গে পাল্লা দিতে চাইলে এখানে আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত মোহাম্মদ আলী মহাম পরিবারের প্রয়োজন। তাদের দাবি মাহাম পরিবারে শত বছরের রাজনৈতিক ঐতিহ্য ও সামাজিক পরিচিতি রয়েছে। এছাড়াও এখানো মাহাম পরিবার একটানা তিনপ্রজন্ম ধরে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্বপালন করে চলেছেন। এসব বিবেচনায় আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংকের সঙ্গে প্রয়াত মোহাম্মদ আলী মাহামের জনপ্রিয়তা কাজে লাগাতে পারলে আওয়ামী লীগ বিরোধীদের পরাজিত করে আওয়ামী লীগের বিজয়ী হবার উজ্জ্বল সম্ভবনা রয়েছে। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, দলমত নির্বিশেষে এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ এখানো প্রয়াত মাহাম পরিবারের অন্ধ ভক্ত তারা এখানো মাহাম পরিবারকে তাদেরই পরিবার মনে করে আসছে এবং তাদের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে চলেছে।
জানা গেছে, রাজশাহী-১ আসনের নির্বাচনী এলাকার মানুষ আবারো জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে। তাদের নিজ নিজ পচ্ছন্দের প্রার্থীদের নিয়ে তারা চা স্টল ও পাড়া-মহল্লার মোড়ে মোড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তুলছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সাম্ভব্য প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করতে কেন্দ্রে জোর লবিং করছেন একই সঙ্গে চলছে মাঠে নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের গোছানোর কাজও। সাম্ভব্য প্রার্থীদের মধ্যে এবার আওয়ামী লীগের গোলাম রাব্বানি ও বিএনপির ব্যারিস্টার আমিনুল হক সাধারণ মানুষের কাছে পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ব্যারিস্টার আমিনুল হককে মনোনিত করায় এই অঞ্চলে বিএনপির রাজনীতিতে ফের প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত এখানো এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষের মধ্যে গোলাম রাব্বানি ও ব্যারিস্টার আমিনুল হকের যে জনপ্রিয়তা, ব্যক্তি ইমেজ ও গণরজায়ার রয়েছে তাতে তারা প্রার্থী হলে লড়াই হবে হাড্ডা-হাড্ডি তবে রাব্বানির বিজয়ী হওয়ার সম্ভবনা বেশী বলে ব্যারিস্টার অনুগতরাও অপকটে শিকার করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উচ্চ শিক্ষিত, সৎ, মেধাবী ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতা সম্পন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ব্যারিস্টার আমিনুল হক জানতেন সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান্নোয়ন ও অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী করতে হলে সর্ব প্রথম শিক্ষা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে হবে। সেই ভাবনা থেকেই তানোর-গোদাগাড়ী শিক্ষা বিমূখ, পশ্চাদপদ ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন একটি এলাকাকে তিনি গড়ে তোলে ছিলেন শিক্ষা নগরী ও যোগাযোগ বান্ধব এলাকা হিসেবে। তার সময়ে তানোর-গোদাগাড়ী নির্বাচনী এলাকায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বিপুল পরিমাণ সড়ক-সেতু ও কালভ্রাট নির্মাণ করা হয়েছিল। কিšত্ত মহাজোট তথা আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ সময়েও এতো বিপুল পরিমাণ সড়ক,সেতু ও কালভ্রাটের আশাবঞ্জক দৃশ্যমান উন্নয়ন বা সংস্কার করতে না পারায় এক সময়ের আর্শিবাদের সড়ক অনেকক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের কাছে অভিশাপের সড়কে পরিণত হয়েছে। প্রতিনিয়ত এসব সড়কে যাতায়াত করতে গিয়ে সাধারণ মানুষকে অবর্নীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, ফলে এসব মানুষ প্রতিনিয়ত ব্যারিস্টার আমিনুলের প্রয়োজন অনুভব করছে, তারা মূখিয়ে আছেন ব্যারিস্টার আমিনুলের আগমনের অপেক্ষায়। অপরদিকে শিক্ষায় পিছিয়ে পড়া এই অঞ্চলের মানুষ যাতে সহজে শিক্ষা অর্জন করতে পারে ও শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয় সেই জন্য তিনি এলাকায় স্কুল-কলেজ ও মাদরাসাসহ ব্যাপকভাবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। ফলে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষ সহজে তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে পারছেন,তেমনি অন্যদিকে এলাকার বিপুল পরিমাণ শিক্ষিত জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থান হয়েছে। অথচ মহাজোট তথা আওয়ামী লীগের দীর্ঘ সময়েও এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দৃশ্যমান তেমন কোনো উন্নয়ন না হলেও প্রায় শত কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য হয়েছে বলে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচার আছে। এদিকে সৎ, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা সম্পন্ন, পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ, উন্নয়ন মূখি, কর্মী ও জনবান্ধব এস„ব বিবেচনায় এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যারিস্টার আমিনুল হকের ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে এখানো তিনি পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছেন বলে বিএনপি দাবি করেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ