কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি॥
গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভার লতিফপুর এলাকায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামীর এসিড নিক্ষেপে স্ত্রী ফারজানা আক্তার(২০) ও শ^াশুড়ী পারভীন বেগম(৪৫) এসিড দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় কালিয়াকৈর থানায় একটি মামলা হয়েছে। ওই ঘটনায় শ্বশুর আয়নাল হক বাদী হয়ে রোববার রাতে কালিয়াকৈর থানায় তিন জনকে আসামী করে ওই মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হচ্ছে পৌরসভার ছোট লতিফপুর বাগানবাড়ী এলাকার নুর আলী হাজির বাড়ীর ভাড়াটিয়া মৃত সুরুজ খলিফার ছেলে আল-আমীন বাবু, তার মা শহরজান বেগম ও আল-আমীন বাবুর মা শহরজান বেগমের দ্বিতীয় স্বামী পৌরসভার লতিফপুর এলাকার সিরাজ মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া সুলতান উদ্দিন। ঘটনাটি ঘটেছিল শুক্রবার দুপুরে আল-আমিনের লতিফপুর হাজী নুরুল ইসলামের ভাড়া বাসায়। এসিড নিক্ষেপের ঘটনার পর ফারজানা আক্তার ও শ^াশুরীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। তারা বর্তমানে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই ঘটনার পর থেকে স্বামী আল আমিন বাবু (২৫) ও সুলতান উদ্দিন পলাতক রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। আল-আমীন বাবুর শ্বশুর আয়নাল হক গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর এলাকার পানিশাইল  এলাকার মৃত আহাম্মদ আলী বেপারীর  ছেলে।
মামলার এজাহারে জানা যায়, গাজীপুর জেলার সদর থানার পানিশাইল উওরপাড়া এলাকার আয়নাল হকের মেয়ের সাথে দুবছর আগে লতিফপুর বাগান বাড়ীর নুর আলী হাজির ভাড়াটিয়া মৃত সুরুজ খলিফার ছেলে আল আমীন বাবুর সাথে বিয়ে হয়। তাদের বিবাহিত জীবনে আবির হাসান ফাইম নামে ৫ বছরের সন্তান রয়েছে। গত ১৩ জুলাই আয়নাল হক তার স্ত্রী পারভীন বেগম ও তার ভাগিনা মনির হোসেন তার মেয়ে ফারজানা আক্তারকে দেখার জন্য তার মেয়ের ভাড়া বাসায় যায়। ওই বাসায় যাওয়ার পর  আয়নালের মেয়েকে ওই বাসা থেকে তার বাড়ীতে নিয়ে যেতে চাপ দেয় এবং খারাপ আচরন করে গালিগালাজ করে বাসা থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা চালায়। তার স্ত্রী প্রতিবাদ করায় এক পর্যায়ে আল আমিন বাবু  তার স্ত্রীর শরীরে এসিড নিক্ষেপ করে। এ সময় তার স্ত্রী ফারজাহানার গাড় হতে কোমর পর্যন্ত পিঠের অধিকাংশ ঝলসে যায়। এসময় এসিডে আলআমিনের শাশুরীর ডান হাত ঝলসে যায়। এসিড দগ্ধ দুই নারী চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে দগ্ধদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।

কালিয়াকৈর থানার এস আই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আতিকুর রহমান রাসেল জানান, এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামী আল আমিন ও সুলতান উদ্দিন পলাতক রয়েছে। এসিড দগ্ধ দুইজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসার জন্য ভর্তি রয়েছে।