• সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৫২ অপরাহ্ন

গণঅধিকার পরিষদ থেকে বাদ পড়ছেন রেজা কিবরিয়া?

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : সোমবার, ১৯ জুন, ২০২৩

গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া। ফাইল ছবি

কোরবানির ঈদের পর আগামী জুলাই মাসে সুবিধাজনক সময়ে কাউন্সিল করবে গণঅধিকার পরিষদ। রোববার রাতে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় এ বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরে সভা মুলতবি করা হয়। সোমবারও সভা হওয়ার কথা রয়েছে। গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়ার বিষয়ে সম্মেলনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দলটির নেতাকর্মীরাই তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। এজন্য কাউন্সিলের আয়োজন করা হচ্ছে। তাকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি ড. রেজা কিবরিয়া জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির এক সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। এর পরই এ বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদে সমালোচনা তৈরি হয়। রোববার রাতে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে রেজা কিবরিয়ার কাছে ইনসাফ কায়েম কমিটির সমাবেশে থাকা নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরও ইনসাফ কায়েম কমিটির সভায় রেজা কিবরিয়ার যোগদানের সমালোচনা করেছেন।

সম্প্রতি বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদের নেতৃত্বে সংগঠনটির সব কর্মসূচিতে রেজা কিবরিয়া অংশগ্রহণ করেছেন। এ নিয়ে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বিএনপির এক ধরনের ভুল বোঝাবুঝি ও দূরত্ব তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

জবাবে রেজা কিবরিয়া তাদের জানান, সরকারবিরোধী যেকোনো প্ল্যাটফর্মে তাকে আমন্ত্রণ জানালে তিনি সেখানে অংশগ্রহণ করেন। এখানে তিনি দোষের কিছু দেখছেন না।

জানা গেছে, ইনসাফ কায়েম কমিটি নিয়ে মতবিরোধ ছাড়াও গত এক বছর ধরে ভিপি নূর ও রেজা কিবরিয়ার মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে। এ কারণে এ সময়ের মধ্যে গণঅধিকার পরিষদের কর্মসূচিতে রেজা কিবরিয়াকে তেমন দেখা যায়নি। এছাড়া দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তাকে গুরুত্বও দেওয়া হয়নি। তার কোনো মতামতের প্রতিফলন হয়নি। দল চলেছে ভিপি নুরের একক সিদ্ধান্তে। এবার কোণঠাসা রেজা কিবরিয়াকে একেবারেই বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত।

ভিপি নুর জানান, তারা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। সেখানে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বিএনপিকে বিভক্ত করার উদ্দেশ্যে বিএনপির বহিষ্কৃত ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে দিয়ে ইনসাফ কায়েম কমিটিকে মাঠে নামিয়েছে। এর উদ্দেশ্য শওকত মাহমুদকে দিয়ে বিএনপিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উকিল আবদুস সাত্তারের মতো লোক তৈরি করা। আমাদের দলের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া ওই ইনসাফ কায়েম কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন এবং ইনসাফ কায়েম কমিটির সভায় অংশগ্রহণ করেছেন। আমরা বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনে আছি। তাই বিএনপির একজন বহিষ্কৃত নেতার কমিটির সভায় আমাদের আহ্বায়ক উপস্থিত থাকবেন– এটা অপ্রত্যাশিত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ