বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। এ দুটি একসঙ্গে চলতে বাধা নেই। রবিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার মাজারে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে সংস্কার কমিশনগুলো যে রিপোর্ট দিয়েছে, তা দ্রুত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ ঐকমত্য ছাড়া কোনো কিছু সম্ভব না।
অনেকে বলছেন জুলাই-আগস্টে নির্বাচন অসম্ভব — এমন প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সংস্কার আর নির্বাচন পাশাপাশি চললে অসুবিধা কোথায়? নির্বাচনের পর যে সরকার আসবে তিনি এই সংস্কারগুলো এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে পরিষ্কার করে বলতে পারি, প্রতিটি সংস্কার আমরা এগিয়ে নিয়ে যাবো। তাছাড়া সংস্কার ও নির্বাচন একসঙ্গে চলতে কোনো বাধা নেই।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দায়িত্বে এসেছিলেন। তখন তিনি আধুনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য খুব অল্প সময়ে সব ক্ষেত্রে সংস্কার করে কাজ শুরু করেন।
জিয়াউর রহমান প্রথম সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশে একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় শাসনের ব্যবস্থা করেছিলেন উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তিনি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর বদ্ধ অর্থনীতিকে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে আনার পরিকল্পনা করেন। তার হাত ধরে কৃষি ও শিল্পে বিপ্লব ঘটে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের হাত ধরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সৃষ্টি হয়েছে। সেই দল সব বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে আজ বাংলাদেশে সর্ববৃহৎ দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের পরে তার উত্তরসূরি বেগম খালেদা জিয়া এই দলের দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি দায়িত্ব নিয়ে দলকে আরও বেশি শক্তিশালী ও সাংগঠনিক করেছেন।
খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে লন্ডনে চিকিৎসাধীন আছেন জানিয়ে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আমরা তার জন্য সবাই দোয়া করি। আজকে তারই আরেক যোগ্য উত্তরসূরি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের দায়িত্ব নিয়েছেন। যিনি হাসিনা-ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশে নতুন নেতৃত্ব দিচ্ছেন।’