অতিমুনাফা লাভের আশায় ওজন বাড়াতে চিংড়ি মাছে ব্যবহৃত ক্ষতিকর জেলি মেশানো ২০ কেজি চিংড়ি মাছ জব্দ করেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থা। সেই সঙ্গে জেলি মেশানো এসব মাছ ধ্বংস করা হয়েছে।
সোমবার বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে এই অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় অভিযানের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পরিচালক ড. সহদেব চন্দ্র সাহা। এছাড়াও সমন্বিত এই অভিযানে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ছাড়াও মৎস্য অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ড. সহদেব চন্দ্র সাহা বলেন, খাবার উৎপাদন থেকে ভোক্তার পাতে যাওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে সেটি অনিরাপদ হতে পারে। সেটি যাতে না হয়, সেজন্য আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করে থাকি। তারই অংশ হিসেবে আজকে আমরা মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে এসেছি।
অভিযানের শুরুতে মাংসের বাজারে যায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখানে একটি দোকানে আগের দিনের মাংস পাওয়া যায়। এরপর মাছের বাজারে অভিযানে বিভিন্ন দোকানে জেলি দেওয়া ও পঁচা চিংড়ি মাছ পাওয়া যায়। পরে সেসব মাছ ও মাংস জব্দ করে হারপিক ঢেলে ধ্বংস করা হয়।
মাছ ও মাংসের বাজারের পর ডিম, মুরগি, সবজি, ফল ও মসলাসহ বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালান অভিযানকারীরা। সেখানে অনেক দোকানে কোম্পানির নাম ও উৎপাদন তারিখবিহীন বিভিন্ন পণ্য পাওয়া যায়। তাদের এই ব্যাপারে সচেতন করে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
অভিযান শেষে ঢাকা বিভাগের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বি এম মোস্তফা কামাল বলেন, আমারা অভিযানে বিভিন্ন মাছ পরীক্ষা করে দেখেছি। আমারা বিভিন্ন দোকানে পঁচা ও জেলিযুক্ত মাছ পেয়েছি। সেগুলো জব্দ করেছি।
মোস্তফা কামাল বলেন, চিংড়িতে এখন তিন ধরনের জেলি ব্যবহার করা হচ্ছে। একটি সাধারণ জেলি, ময়দা দিয়ে তৈরি করা জেলি এবং তরল জেলি। এই ব্যাপারে জনগণকে সতর্ক হতে হবে। বিশেষ করে চিংড়ি মাছ কেনার সময় যেন জেলি আছে কিনা সেটি তারা পরীক্ষা করে নেন। কারণ এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, কিডনির সমস্যা ও ক্যান্সারসহ অনেকগুলো রোগ হয়।