মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি॥
মানিকগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ঘিওর হাট বাজারের পরিবেশ এখন মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে। স্বাধীনতার ৪৬ বছর অতিবাহিত হবার পড়েও বাজারে বিন্দুমাত্র উন্নয়ন করা হয়নি। অথচ প্রতিবছর হাট বাজার থেকে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় করা হচ্ছে। দীর্ঘদিনেও হাট বাজারের উন্নয়ন না হওযায় ব্যবসায়ীসহ সাধারণ লোকজনের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যত্রতত্র ময়লা পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত আর্বজনার কারণে বাজারে চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঘিওর পুরাতন গরু হাট, কাঠপট্রি, মাছবাজার, গুর হাট, মিষ্টিপট্রি,বাসষ্ট্যান্ড,ধানহাট, ভুষিপট্রি ও মুক্তিযোদ্ধা ভবনের সামনের রাস্তাগুলো পাঁচ মিনিটের বৃষ্টিতেই ভাসতে থাকে। এ সময় সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পানিতে ভাসতে থাকে ময়লা পঁচা ও দুর্গন্ধযুক্ত আর্বজনা। বাজারের ব্যবসায়ী দর্শনাথী ও হাজার হাজার পথচারীরা নাকে রুমাল চেপে আসা যাওয়া করে। ১৯৯৫ সালে ঘিওর ভুষিপট্রি, মেইনরোড, ধানহাট এবং ২০০২ সালে ঘিওর পুরাতন গরু হাটা, বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় পানি নিস্কাশনের জন্য কয়েকটি ড্রেন নির্মাণ করা হয়। কিন্তু অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই ড্রেনগুলো ভরাট হয়ে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। নামমাত্র একাধিকবার সংস্কার করলেও বাজারের ব্যবসায়ীদের কোন উপকারে আসেনি।
বাজারের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, চারদিকে ময়লা আর্বজনার ছড়াছড়ি। ঘিওর আনসার ভিডিপি ক্লাবের সামনে ময়লা আর্বজনার পাহার গড়ে উঠেছে। ময়লা আর্বজনা ফেলার কোন ডাষ্টবিন নেই। বিভিন্ন দোকানের পাশে, রাস্তার মাঝখানে জড়ো করে রাখা হয়েছে ময়লা আর্বজনার স্তূপ। প্রচন্ড দূর্গন্ধের কারণে অস্বস্তিতে পড়েছে বাজার ব্যবসায়ীরা। বৃষ্টি হলে ময়লা আর্বজনা পচে দুর্গন্ধ ছড়ালেও প্রশাসনের কোন রকম ভূমিকা নেই বললেই চলে।
এ দিকে ঘিওর বাজারে পর্যাপ্ত টয়লেট টিউবওয়েল ও প্রসাবখানা নেই। ঘিওর বাসষ্ট্যান্ড ও মহিলা মার্কেটে টয়লেট ও প্রসাবখানা থাকলেও দুর্গন্ধের কারণে ব্যবহার করা যায় না। দুঃখজনক হলেও সত্য, ঘিওর বাজারে প্রায় রাস্তা গুলো ইট সোলিং অবস্থায় পড়ে আছে। অনেক রাস্তার ইট উঠে যাতায়াতের মারাত্মক অসুবিধা হচ্ছে। তবে বিশিষ্টজনদের ধারণা, ঐতিহ্যবাহী ঘিওর উপজেলাকে অবিলম্বে পৌরসভায় উন্নতি করা প্রয়োজন। তা হলেই সকল প্রকার উন্নয়ন করা সম্ভব । ঘিওর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন মুসা জানান, বাজারে ড্রেন, টিউবওয়েল প্রসাবখানা, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন জন্য প্রশাসনের সাথে আলাপ করা হয়েছে। তবে ইতোমধ্যে বাজারের ময়লা আর্বজনা অপসারণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে একাধিকবার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকায় হলেও বাজারের কোন উন্নয়ন হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা খন্দকার বলেন, আমি বাজারের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেছি। দ্রুত বাজারের সকল প্রকার সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এলাকার সুশীল সমাজ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ অভিঙ্ঘ মহল দ্রুত ঘিওর বাজার উন্নয়নের জন্য উর্দ্ধতন কর্তপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।