ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থেকে মাদরাসা পড়ুয়া অপহৃত ১৪ বছরের এক কিশোরীকে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী থেকে উদ্ধার করেছে হালুয়াঘাট থানা পুলিশ। এ সময় অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই আসামিকেও গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাহিদুল ইসলাম।
এর আগে, গত ১৯ মে উপজেলার চরবাঙ্গালিয়া নাইট মনীন্দ্র রেমা মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থান থেকে অপহৃত হয় ওই কিশোরী।
এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা গত ৪ জুন বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী থেকে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার ও এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার গ্রেফতার দু’জনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ। এ ছাড়াও অপহরণের বিষয়ে ২২ ধারা জবানবন্দির জন্য ভিকটিমকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন-ময়মসিংহের তারাকান্দা উপজেলার ওয়াইখালপাড় এলাকার বাছির উদ্দিনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২৫) এবং হালুয়াঘাট উপজেলার নাশুল্ল্যা ফকিরপাড়া গ্রামের ছাইফুল ইসলামের পুত্র হাসান (৩০)।
অপহৃত হওয়া কিশোরীর বাবার দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, গ্রেফতার হওয়া দুইজনের মধ্যে আশরাফুল ইসলাম ভেকুর মাধ্যমে মাটি কাটার কাজ করতেন। কাজ করার সুবাদে অপহৃত কিশেরীকে মাদরাসা আসা যাওয়ার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করতেন। বিষয়টি কিশোরী তার পরিবারকে অবহিত করলে আশরাফুলসহ তার আত্মীয়দের জানানো হয়।
তবে বিষয়টি জানানোর পর ক্ষিপ্ত হয়ে ওই কিশোরীকে মাদরাসা যাওয়ার পথে কৌশলে অপহরণ করে আত্মগোপনে চলে যায়। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে মেয়ের সন্ধান চেয়ে লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করে থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে হালুয়াঘাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাগর সরকার জানান, থানায় মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলমান ছিল। পরবর্তীতে থানার একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার ও দুই আসামিকে গ্রেফতার করেন।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হালুয়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ মাহাবুবুল হক বলেন, তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার ও দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। আইনগত ব্যবস্থা শেষে আজ দুপুরে গ্রেফতার দুজনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সেইসাথে ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে।