দুঃসময় থেকে যেন বের হতে পারছেন না সাকিব আল হাসান। আটকা পরেছেন দুর্ভাগ্যের বৃত্তে। হত্যা মামলা আর জাতীয় দল থেকে বাদ দেয়ায় আইনি নোটিশের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই এবার পড়েছেন দুদকের বেড়াজালে।
জাতীয় সংসদের সাবেক সদস্য ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিবের আয়কর হিসাব, দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত ও মামলার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করা হয়েছে।
বুধবার ব্যারিস্টার মিলহানুর রহমান নাওমী এই আবেদন করেন।
রাজনীতিতে পা রাখার পর থেকেই যেন দুঃসময়ে আটকে গেছেন সাকিব। প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে অংশগ্রহণে প্রথমে হন সমালোচনার শিকার। এরপর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় চুপ থেকে বনে যান নায়ক থেকে খলনায়ক।
তবে এখানেই শেষ নয়, আন্দোলনের তীব্রতায় সরকারের পতন হলে সংসদ সদস্য পদ হারান সাকিব। এরপর যোগ হয় হত্যা মামলার খড়গ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এক গার্মেন্টসকর্মী নিহতের ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়ে।
ওই মামলার জেরে জাতীয় দল থেকে বাদ দিয়ে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বরাবর উকিল নোটিশ দেয়া হয়। সব মিলিয়ে বেশ চাপেই আছেন সাকিব আল হাসান। যদিও বিসিবির সহযোগিতায় আপাতত গ্রেফতার হচ্ছেন না তিনি। তদন্তের পর নেয়া হবে তার ব্যবস্থা।
তবে এই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই আরো এক জটিলতায় আটকালেন তিনি। এবার দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তার নামে তদন্ত চালাতে আবেদন করা হয়েছে। আবেদনপত্রে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে আসা সাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর ওপর নজর দিতে বলা হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়েছে, ‘সাবেক সংসদ সদস্য দুর্নীতিবাজ সাকিব আল হাসান এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অপরাধ লব্ধ আয় এবং উহার স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তর মাধ্যমে মানিলন্ডারিং অপরাধ সংগঠন তৎসহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন-সংক্রান্ত দুর্নীতি ও মানিলন্ডারিং অপরাধের তদন্ত, অনুসন্ধান ও মামলা দায়েরসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রার্থনা।’
অর্থাৎ শেয়ার বাজার কারসাজির ও অর্থ আত্মসাৎ, নিষিদ্ধ জুয়ার ব্যবসা ও জুয়া প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ততা, স্বর্ণ চোরাচালানিতে সম্পৃক্ততা, ক্রিকেট খেলায় দুর্নীতি ও নির্বাচনী হলফনামায় ব্যবসা, সম্পদের তথ্য ও আয়ের উৎস গোপনসহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের কথা বলা হয়েছে।