কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৩০ রানে হারিয়ে বিপিএল আসরটা জমিয়ে দিল রাজশাহী কিংস। পাঁচ ম্যাচ পর কুমিল্লাকে পরাজয়ের স্বাদ দিল স্যামি-সামিরা। প্রথমে ব্যাটিং করে ড্যারেন স্যামি ঝড়ে ১৮৫ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় রাজশাহী কিংস। জবাবে মোহাম্মদ সামির দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৫৫ রানে শেষ কুমিল্লার ইনিংস।
১৮৬ রানের জবাবে খেলতে নেমে দুই ওভারের মধ্যে ফখর জামান ও ইমরুল কায়েসকে হারিয়ে বসে কুমিল্লা। ফখর জামনকে বোল্ড করেন সামি। আর ইমরুল কায়েদকে ফেরান মিরাজ। এরপর তামিম ইকবাল ও শোয়েব মালিকের ব্যাটে এগিয়ে চলে দলটি। এই দুজন যোগ করেন ৮৭ রান।
দলীয় ৯১ রানে রাজশাহীকে খেলায় ফেরান ডোয়াইন স্মিথ। ২৬ বলে ৪৫ রান করা শোয়েব মালিককে ফিরিয়ে দেন এই ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার। মালিক ফেরার তামিম ইকবালকে ফেরান মোহাম্মদ সামি। একই ওভারে অলক কাপালিকে ফিরিয়ে ম্যাচটা রাজশাহীর করে নেন এই পাকিস্তানি বোলার। এরপার সাইফুদ্দিনকেও ফেরান তিনি।
১৬তম ওভারে জস বাটলারকে ফিরেয়ে রাজশাহীর জয় প্রায় নিশ্চিত করে দেন জেমস ফ্রাঙ্কলিন। এরপর হাসান আলি-রশীদ খানরা কেবল পরাজয়ের ব্যাধানটা কমিয়েছেন। মোহাম্মদ সামি চার ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে নেন চারটি উইকেট।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ১৮৬ রানের লক্ষ্য রাখে কুমিল্লার সামনে।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এ ম্যাচে শুরুটা মোটামুটি ভালোই ছিল রাজশাহীর। দুই ওপেনার স্মিথ ও মুমিনুল হক দলকে বড় সংগ্রহের প্রথম দেখিয়েছিলেন। কিন্তু দলীয় ৪১ রানের মাথায় স্মিথ (১৯) ও ৪৭ রানের মাথায় মুমিনুল (২৩) ফিরে যান। পরে লুক রাইট কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও অন্যরা ছিলেন আসা যাওয়ার দলে। রাইট ৪২ রান করে সাজ ঘরে ফিরেন।
রাজশাহী অধিনায়ক ড্যারেন সামি শেষ দিকে এসে ৪৭ রানের দারুণ একটি ঝড়ো ইনিংস খেলেন। যাতে বল খরচ করেছেন মাত্র ১৪টি। তাঁর এই ইনিংসে একটি চার ও ছয়টি ছক্কার মার ছিল।এই ক্যারিবীয় ক্রিকেটারের চমৎকার এই ইনিংসের ওপর ভর করেই রাজশাহী এই চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে।
কুমিল্লার পক্ষে সাইফুদ্দিন ৫০ রানে তিন উইকেট পান। আর পাকিস্তানি পেসার হাসান আলী দুটি এবং বাংলাদেশি পেসার আল আমিন হোসেন পান এক উইকেট।