• শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:

সাকিবকে ছাড়াই ভারতকে হারাতে চায় বাংলাদেশ

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ-ভারত লড়াইয়ের উত্তাপ সাদা পোশাকে টের পাওয়া যায়নি মোটেও। অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল টাইগাররা। তবে রঙিন পোশাকে গল্পটা ভিন্ন। দুই দল মুখোমুখি হলেই উত্তেজনা উঠে তুঙ্গে। ওই উত্তেজনায় গা ভাসাতে প্রস্তুত হতে পারেন আরো একবার।

দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের পর ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। আজ (রোববার) সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামছে দুই দল। গোয়ালিয়রে খেলা শুরু সন্ধ্যা ৭টায়।

শক্তি, সামর্থ্য কিংবা অর্জনে যদিও বেশ সমৃদ্ধ ভারত, এগিয়ে বাংলাদেশের থেকে বহুগুণে; তবুও দুই দলের লড়াই এখন বেশ আগুনে। একপেশে বলার তো সুযোগ নেইই, সাধারণ একটা ম্যাচেও উত্তেজনার পারদ বাড়ে।

ব্যাতিক্রম নয় এবারো। যদিও টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছে টাইগাররা। চেন্নাই কিংবা কানপুর কোথাও ভারতকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি টাইগাররা। করতে হয়েছে অসহায় আত্মসমর্পণ। তবে ভিন্ন ফরম্যাট টি-টোয়েন্টি বলেই যত আশা সমর্থকদের।

কেননা ভারতের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ইতিহাসের একমাত্র জয়টা এসেছে এই ফরম্যাট থেকেই।২০১৯ সালে নয়া দিল্লিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে ভারতকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল টাইগাররা। ৭ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ।

যা ছিল ভারতের বিপক্ষে দেশে কিংবা দেশের বাইরে বাংলাদেশের প্রথমবার কোনো টি-টোয়েন্টি জয়। যদিও সিরিজতে পারেনি টাইগাররা। পরের দুটি টি-টোয়েন্টি হেরে ২-১ ব্যবধানে হাতছাড়া করে সিরিজ। তবে পাঁচ বছর পর ফের ওই সুযোগ বাংলাদেশের সামনে।

আরো একবার ভারতের মাটিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। এবার সিরিজ জয়ের সেই আক্ষেপ মেটাতে চায় টাইগাররা৷ যদিও তা খুব একটা সহজ হবে না। এখন পর্যন্ত দুই দলের ১৪ বারের লড়াইয়ে বাংলাদেশের জয় ওই মাত্র একটাই।

যদিও ভারতের এই দলে নেই রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলির মতো তারকারা। নেই শুভমান গিল, রিশাভ পান্ত, জাসপ্রীত বুমরাহরা। আর চোটের কারণে ছিটকে গেছেন শিভাম দুবে। ফলে বলাই যায় একঝাঁক নতুন ক্রিকেটার নিয়েই মাঠে নামছে স্বাগতিক ভারত।

তবে কে আছে কে নেই, তা নিয়ে ভাবছে না বাংলাদেশ। এই নিয়ে ম্যাচপূর্বক সংবাদ সম্মেলনে শনিবার তাওহীদ হৃদয় বলেন, ‘এভাবে আমরা চিন্তা করি না।যখন মাঠে খেলতে নামি তখন কে আছে কে নাই, এগুলো মাথায় কাজ করে না। আমরা আমাদের দিকটা ফোকাস করি।যে প্রক্রিয়া আছে সেগুলো মেইনটেইন করার চেষ্টা করি।’

ভারতকে হারানো প্রসঙ্গে হৃদয় বলেন, ‘সুযোগ আছে হারানোর, এমন না যে তাদের বড় টিমকে আমরা হারাইনি। বড় টিম ছোট টিম বলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কিছু নেই। আমার কাছে মনে হয় পার্টিকুলার ডে-তে যে ভালো করবে সেই জিতবে।’

ম্যাচটা বেশ ঐতিহাসিক দুই দলের জন্যেই। প্রথমত এই ম্যাচ দিয়ে মাধবরাও সিন্ধিয়া স্টেডিয়ামে ১৪ বছর পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ হতে চলেছে। আর দ্বিতীয়ত, এই ম্যাচ দিয়েই সাকিব আল হাসান পরবর্তী যুগ শুরু হতে যাচ্ছে টাইগারদের।

হৃদয় জানালেন, সাকিবকে বেশ মিস করবেন তারা। তবে থেমে থাকলেও যে হবে না তাও বলেন তিনি। হৃদয় বলেন, ‘সাকিব ভাই নেই। অবশ্যই সাকিব ভাইকে মিস করব। কিন্তু আমাদের এখান থেকে একদিন না একদিন সবাইকে তো যেতেই হবে। আশা করি, এখান থেকে আমরা ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’

এখানকার উইকেট সম্পর্কে হৃদয় বলেন, ‘এখানে ঘরোয়া লিগে দু’শ’র ওপর রান হয়। তবে ঘরোয়া আর আন্তর্জাতিক ম্যাচ এক নয়। আমার মনে হয়েছ উইকেট কিছুটা স্লো। আমরা চরিত্র অনুযায়ী মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করব এবং দলীয় পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলব।’

এমতাবস্থায় একাদশে স্পিনারদের আধিপত্য দেখা যেতে পারে। অভিষেক হতে পারে রাকিবুল হাসানের। রিশাদ ও মেহেদি মিরাজের সঙ্গী হতে পারেন তিনি। যদিও শেখ মেহেদিও আছেন প্রস্তুত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ