আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে চাঁদপুরের নৌ-সীমানায় মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এ সময় ইলিশ ধরা, মজুদ ও ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ থাকবে। এ সুযোগে চাঁদপুর মাছঘাটে ইলিশের মূল্য বৃদ্ধি অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দিনব্যাপী ইলিশ কেজিতে বেড়েছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। চাঁদপুরের ইতিহাসে এমন দাম আগে বাড়েনি বলে জানান ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা।
ইলিশের ভরা মৌসুমে এবার দেশের অন্যতম বৃহৎ চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে কমেছে ইলিশের সরবরাহ। সপ্তাহ খানেক আগেও মাছঘাটে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ মণ ইলিশ সরবরাহ হলেও বর্তমানে ইলিশ সরবরাহ হচ্ছে ১০০ মণের কম। যার কারণে একলাফে ইলিশের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০০-৬০০ টাকা।
চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে এককেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৪০০ থেকে ২৫০০ টাকা দরে। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা। এছাড়া এককেজি ওজনের বেশি ইলিশের দাম ২৭০০ টাকা থেকে ২৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোট সাইজের কেজি প্রতি ৫/৬শ টাকা থেকে এখন ১২/১৩শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
নিষেধাজ্জার শেষ মুহূর্তে ইলিশে আাকাশচুম্বি দাম শুনে ক্ষুব্ধ ও হতাশ ক্রেতারা। এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, জেলেরা নিষেধাজ্ঞার আগেই জাল ও নৌকা নিয়ে তীরে ফিরছেন। এতে ইলিশ সরবরাহ নেই বললেই চলে।
ক্রেতা আরমান গাজী বলেন, চাঁদপুরে মাছঘাটে ইলিশের এমন দাম আগে আর দেখিনি। আমি নিজেও অনলাইনে বিক্রি করার জন্য কিনি কিন্তু এখন প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এত দামে ইলিশ কেনা সম্ভব হচ্ছে না।
ইলিশ ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, মাছঘাটে ইলিশের সরবরাহ অনেক কমেছে। চাহিদা অনুযায়ী ইলিশ নেই। যার কারণে দামও বেশি। দীর্ঘদিন ব্যবসা করছি এমন পরিস্থিতি হয়নি। এই সময়ে ক্রেতা থাকার কথা অনেক কিন্তু দামের কারণে ক্রেতাও নেই।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি আব্দুল বারি জমাদার মানিক বলেন, রোববার থেকে মাছঘাটে সব ধরণের মাছ বিক্রি নিষিদ্ধ। এখন কর্মব্যস্থতা বেশি থাকার কথা থাকলেও ইলিশ কম। যার কারণে দামও রেকর্ড হয়েছে।