জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেসকে সতর্ক করে ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক বলেছেন, ইসরাইল যদি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ নেয় তবে তেহরান ‘সিদ্ধান্তমূলক’ ও ‘অনুতাপ সূচক’ প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত।
ইসলামিক দেশটি তার ঘনিষ্ঠ দুই মিত্র- হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া এবং হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ এবং একজন ইরানি জেনারেলের হত্যার প্রতিশোধ নিতে ২ অক্টোবর ইসরাইলে প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট গত সপ্তাহে অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, তার দেশের প্রতিশোধ ব্যবস্থা হবে মারাত্মক, সুনির্দিষ্টি এবং আশ্চর্যজনক।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি তার অফিস থেকে আন্তোনিও গুতেরেসের সাথে ফোনালাপে জানান, ইরান তার অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার সময় ইসরাইলের যেকোনো দুঃসাহসিক অভিযানের নিষ্পত্তিমূলক এবং অনুতাপসূচক জবাব দেওয়ার জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফোনালাপে আরাকচি জাতিসংঘের কাছে ইসরাইলি সরকারের অপরাধ ও আগ্রাসন বন্ধ এবং লেবানন ও গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠাতে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো ব্যবহারের আবেদন জানিয়েছেন। গত সপ্তাহে তিনি উত্তেজনা কমানোর প্রয়াসে লেবানন, সিরিয়া, সউদী আরব, কাতার এবং ওমান সফর করেন।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স -এ একটি পোস্টে জানান, মিসর ও তুরস্ক ভ্রমণের আগে আরাকচি গতকাল বুধবার জর্ডান সফর করেন।
গাজায় ইসরাইলের গণহত্যামূলক যুদ্ধের পটভূমিতে এসব বিষয় এসেছে যা গত এক বছর যাবৎ চলমান এবং সাম্প্রতিক সপ্তাহে লেবাননকে অন্তর্ভুক্ত করায় প্রসারিত হয়েছে। সূত্র : ডেইলি সবাহ।